আফতাব চৌধুরী : শিক্ষা সভ্যতার বিকাশ ঘটায়। শিক্ষাই মানুষকে বন্যজীবন থেকে সভ্যতার আলোয় নিয়ে এসেছে। শিক্ষাই মানুষকে মানুষ হিসেবে তৈরি করে। সমাজে সবাই ঘাড় উঁচু করে, পিঠ টান করে মানে মেরুদ- সোজা করে বাঁচতে চায়। মেরুদ-হীন হয়ে বাঁচার শখ বা স্বাদ আমাদের কারও নেই। আমরা অনেকেই ‘শিক্ষিত’ বলে গর্ব করি, কিন্তু শিক্ষার আসল রূপ কী হওয়া উচিত সে সম্বন্ধে অবগত নই। সে জন্যই আমাদের মধ্যে এডুকেশন পদ্ধতি, আৃবার কেউ কেউ ইনস্টিটিউশন পদ্ধতি অবলম্বন করি। যাই হোক, নিজের মেরুদ-কে সোজা ও সুদৃঢ়রূপে গড়ে তুলতে আমরা জীবনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় ওই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনে ব্যয় করি। এর পর নানা কষ্টে অর্জিত শিক্ষাকে পদে পদে তার সত্যতা প্রমাণের জন্য অগ্নিপরীক্ষা দিই।
বর্তমানে একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়Ñ ‘আজকালকার স্কুল-কলেজগুলোর হালচাল নাকি খুবই দুর্বল। বর্তমানে বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী নাকি সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়, শিক্ষা গ্রহণের জন্য নয়’। এসব কথাবার্তা একেবারে মিথ্যে নয়। এতে স্বভাবতই শিক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে এক ধরনের নেতিবাচক ধারনা অনেকের মনে জাগতে পারে। বিস্ময় জাগে এটা ভেবে যে, আজকালকার শিক্ষা যতই বৃত্তিমুখী হোক না কেন, বিনা শিক্ষালাভে কি সার্টিফিকেট অর্জন করা সম্ভব? কেউ শুধু ‘শিক্ষা’লাভকে উদ্দেশ্য করেই স্কুলে যাক বা সার্টিফিকেট লাভকে উদ্দেশ্য করে স্কুলে যাক, সর্বতোভাবে তাকে প্রথমে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠান কি কোনো অযোগ্যকে যোগ্যতার স্বীকৃতি দিতে পারে?Ñ সেই বাস্তব কথাটি আজকের শিশুদের বিশ্বাস করানোর ক্ষমতা নেই। ছোট ছোট শিশুরা ভালো করে বুঝে নিয়েছে, টাকা হলে বাঁকা পথে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। কথায় বলে, ‘বাতাস না এলে গাছের পাতা নড়ে না।’ শিক্ষাব্যবস্থার ভিতরেও যে নিশ্চয়ই এক বিষাক্ত বাতাস বইছে তা ধ্রুব সত্য। নিত্যদিনের নানা শিক্ষা কেলেঙ্কারির প্রকাশিত খবর অস্বীকার করার উপায় নেই। বলতেই হবে, কোনো এক অদৃশ্য, অজ্ঞাত অশুভ শক্তি থাবা বসিয়েছে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে। ইনস্টিটিউশন পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার এই রূপ হয়েছে। এরূপ পদ্ধতির উৎসগুলোতে মুখস্থ বিদ্যার প্রচলন রয়েছে। আমি যেটুকু জানি সেটুকুই শিক্ষা দেওয়া। ফলে ছাত্ররাও মুখস্থ বিদ্যার আশ্রয়ে শিক্ষালাভ করে এবং এভাবেই গড়ে ওঠে পরনির্ভরশীল শিক্ষাধারা। মস্তিষ্কের সৃষ্টিশীল উদ্ভাবনী ক্ষমতার বিকাশ হয় না। এই পদ্ধতি হচ্ছে চাকরিনির্ভর। ছাত্রদের প্রবণতা থাকে লেখাপড়া শেষ করে কীভাবে শুধুমাত্র একটা ভালো চাকরি পাবে, অর্থাৎ একটা অর্থ রোজগারের যন্ত্রে পরিণত হবে। এর ফলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তা ও স্বার্থপরতাই বেড়ে ওঠে। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থায় মানবিক মূল্যবোধ বিনষ্ট হয়। মানুষ এত বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে যে, তখন সমাজ, দেশ এবং দেশের জনগণের কথা চিন্তাই করে না। যে কারণে নবপ্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য পড়ার প্রবণতা অনেকটা কমে গেছে। এদের পড়াশোনার তাগিদটাই হয়ে গেছে চাকরি এবং অর্থ উপার্জন।
আমাদের জানা দরকার, এডুকেশন পদ্ধতি মানুষের জ্ঞানের বিকাশ ঘটায়, মানুষের চেতনার মানকে উন্নত করে, সৃষ্টিশীল চিন্তাধারাকে ত্বরান্বিত করে, মানুষকে নতুন কিছু তৈরি করতে সাহায্য করে। একটা দেশের সব বিভাগে যদি স্রষ্টা-সংখ্যা না বাড়ে তাহলে সমাজ বা দেশের উন্নতি হয় না। যদি বিশ্বমানের শিল্প-সাহিত্য না হয়, যদি বিজ্ঞানের অগ্রগতি না হয়, যদি ভালো অর্থনীতিবিদ না থাকেন, খেলাধুলার ক্ষেত্রে যদি বিশ্বমানের খেলোয়াড় না হয় তাহলে দেশের অগ্রগতি রুদ্ধ হয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতি, শিল্প-সাহিত্য, মানবিক প্রবৃত্তি সবকিছুই পিছিয়ে পড়বে। একটা দেশকে চেনা যায় সে-দেশের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি দেখে। এসব তৈরি করতে পারে দেশের সঠিক এডুকেশন পদ্ধতি। ভালো সাহিত্য না পড়লে সৃষ্টিশীল চিন্তা বা উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়ে না। মানবিক মূল্যবোধও তৈরি হয় না। মানবিক মূল্যবোধ তৈরি না হলে কল্যাণকর চিন্তাও আসবে না, আত্মকেন্দ্রিক প্রবণতাই কেবল বাড়তে থাকবে। তাহলে এখন প্রশ্ন আসতে পারে, আমাদের দেশে কি কোনো শিল্পী, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী তৈরি হচ্ছে না? বিভিন্ন বিষয়ে যারা সাফল্য পাচ্ছেন তারা নিজেদের চেষ্টায়, নিজেদের ক্ষমতায় পাচ্ছেন। দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অগ্রগতি এ সমস্ত বিষয় অধিক মানুষের সাফল্যে সাহায্য করে, মানবিক মূল্যবোধকে বাড়িয়ে তোলে, ইতিবাচক চিন্তা বিকাশ ঘটায়। শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটিতেই মানুষের মূল্যবোধ ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। মানুষ আর মানুষের কথা ভাবে না। তাই ফুটপাতে একটা অসুস্থ মানুষকে মরতে দেখেও আমরা সহযোগিতার হাতা বাড়াই না, পাশ কাটিয়ে চলে যাই। কেন এমন হচ্ছে? যদি সমাজের মানুষের কথা না ভাবি তাহলে আমরা কি ভালোভাবে বাঁচতে পারব? এই নেতিবাচক শিক্ষা কখনো প্রকৃত শিক্ষা হতে পারে না। শুধু বড় বড় ডিগ্রি পেলেই প্রকৃত শিক্ষিত হওয়া যায় না। শিক্ষার সঙ্গে থাকতে হবে সংস্কৃতি, রুচিবোধ, মানবতাবোধ। তবেই তো সে শিক্ষা হয়ে ওঠে প্রকৃত শিক্ষা। শিক্ষার জ্যোতি সমাজ ও দেশের মঙ্গল ঘটায়, মানুষের মঙ্গল করে, মানুষের কল্যাণ সাধিত করে। বিজ্ঞানীরাও নিজেদের কল্যাণের কথা ভেবে কোনো আবিষ্কার করে না। বিজ্ঞানীর আবিষ্কারের মতো আমাদের শিক্ষককেও ভাবতে হবে। আমাদের শিক্ষা হবে নিজের জন্য এবং সমাজের কল্যাণ সাধনের জন্য, শুধুমাত্র অর্থ রোজগারের জন্য নয়।
আমি জানি এটাই শেষ নয়। এরপরও অনেক কিছু জানার থাকে। যত জানা সম্ভব হবে তত আমাদের চিন্তা ও মনের দৃষ্টিকূলে যাবে, সৃষ্টিশীল মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটবে। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় যেমন সন্তানকে জানতে হয়, তেমনি এ পৃথিবীতে জন্মলাভের পর পৃথিবীর ইতিহাস আমাদের জানতে হবে। কীভাবে একটা সভ্যতা এগিয়ে গেল, কীভাবে বিজ্ঞানের অগ্রগতি হলো, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ক্লাসিক সাহিত্য যদি না জানি তবে আমাদের জ্ঞানের পরিধি গ-ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। নিজের দেশ পৃথিবী সম্বন্ধেও সঠিকভাবে জানা থেকে বঞ্চিত থাকব। ক্লাসিক সাহিত্যের মধ্যে সে-দেশের সমাজব্যবস্থা, দেশের মানুষের আচার-আচরণ, অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক অবস্থানও। ক্লাসিক সাহিত্য পড়লে মানুষের চেতনা বাড়ে, জ্ঞান বৃদ্ধি হয়, সঠিক মূল্যবোধও তৈরি হয়। এর মাধ্যমে আমাদের ঘরের পরিবেশ সুন্দর হবে, পরিবারের লোকজনের মধ্যে রুচিবোধ তৈরি হবে, ব্যবহার উন্নত হবে। আমাদের চিন্তা, জ্ঞানের পরিধি এবং মনের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে। তখন সত্যিই আমরা নিজেকে চিনতে ও জানতে পারব, আমরাও হয়ে উঠব শিক্ষিত, আমাদের মধ্যে মেকি শিক্ষা থাকবে না। হতাশা সহজে আমাদের গ্রাস করতে পারবে না। আমাদের আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে, চেহারার মধ্যে ফুটে উঠবে শিক্ষার ছাপ। তখন সহজেই আমরা লাভ করতে পারব মানুষের শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ভালোবাসা।
আসুন, শত কাজের মধ্যে ভালো সাহিত্য, ইতিহাস ও খ্যাতিমান মানুষদের জীবনী পাঠ করি, ভালো গান শুনি এতে আমাদের মনের উদারতা বাড়বে, কাজের উৎসাহ বাড়তে থাকবে। মনে রাখতে হবে সঠিক শিক্ষাই পারে মানুষকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, মানুষকে সাফল্য এনে দিতে। আসুন ডিগ্রির মোড়কে শিক্ষাকে আটকে রাখার চেষ্টা না করে সঠিক অর্থে নিজেদের শিক্ষিত করে তুলি। এই মনুষ্য জীবন আমরা একবারই পেয়েছি। এটাই প্রথম, এটাই শেষ। তাই শুধু ভোগ করলেই চলবে না, কিছু দান করতে হবে। এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে আমাদের প্রমাণ রেখে যেতে হবে যে, আমরা এককালে এরকম ছিলাম। যদি মানুষ আমাদের মনে না রাখে তবে এরূপ জীবনের কোনো মূল্যই থাকবে না।
পশু আর মানুষের জীবনের মধ্যে তফাৎ রয়েছে। পশু বাঁচে প্রকৃতির দয়ায়, মানুষ বাঁচে নিজের ক্ষমতায়। মানুষের কিছু করার ক্ষমতা বা অধিকার রয়েছে। মানুষ কিছু করতে চায়। এই প্রবণতা থেকেই পৃথিবীর আজ এত অগ্রগতি। তাই সে কথা চিন্তা করে আমাদের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে। ‘শুধুমাত্র পরিবারের লোকগুলোর কথা ভেবে আপনি সম্পদ বাড়িয়ে চলেছেন। আপনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পরিবারের মানুষগুলোও আপনাকে ভুলে যাবে। আপনার কথা কেউ মনে রাখবে না।’ এটাই পৃথিবীর নিয়ম। মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের সেই পঙ্্ক্তিটি- ‘আমাদের শিক্ষাকে আমাদের বাহন করিলাম না, শিক্ষাকে আমরা বহন করিয়াই চলিলাম।’
সমাজকে নিয়েই মানুষ বাঁচে। সমাজকে নিয়েই মানুষের জীবন, মানুষের সুশৃঙ্খল জীবনের জন্যই সমাজের সৃষ্টি। সমাজকে বাদ দিয়ে মানুষ কখনো একা বাঁচতে পারে না। যে কোনো মানুষের সাফল্যের পেছনে থাকে মানুষের সাহায্য আর সামাজিক স্বীকৃতি। আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী? জীবনে আমরা কী করতে চাই? আমাদের প্রত্যাশা এবং জীবনের লক্ষ্যগুলো নিয়ে আমাদের বিবেচনা করতে হবে। ভেবে দেখতে হবে জীবনের প্রত্যাশা এবং লক্ষ্য কি আমাদের ব্যক্তিকেন্দ্রিক, নাকি সমাজকেন্দ্রিক। যদি শেষোক্ত হয় তাহলে জেনে রাখতে হবে, আমাদের সাফল্যে আমরা যেমন আনন্দিত হব মানুষও তেমনি আনন্দিত হবে। জীবনের দুটি দিক রয়েছে, নেগেটিভ এবং পজেটিভ। একটা মানুষের মধ্যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক ধারণা ঢুকে গিয়ে মানুষটা যখন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে, সে তখন সমাজ বা মানুষের কথা ভাবে না। এ ছাড়াও ছোটবেলার ধারণাগুলো চাপিয়ে দেওয়ার তার মানসিক অবস্থার সঙ্গে অতীতের ধারণা অঙ্গীভূত হয়ে যায়। কিন্তু পজেটিভ চিন্তার মানুষের ধারণা ছোট থেকেই অন্যভাবে তৈরি হয়। তাই সে শুধু নিজের কথা নিয়ে ভাবতে পারে না। ফলে বড় হয়ে সেগুলো মানসিক অবস্থার সঙ্গে অঙ্গীভূত হয়ে মানবিক আবেদনের চেহারা নেয়। সে তখন সমাজ বা মানুষের কথা ভাবতে শুরু করে। তাই আমাদেরও নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকে নিতে হবে।
আমরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রক। কোনটা গ্রহণ আর কোনটা বর্জন করতে হবে সেটা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তা ও মনের ওপর নির্ভর করবে। নিজের মনকে পরামর্শ দিতে হবে যে, একমাত্র সুন্দর গঠনমূলক পরামর্শ ছাড়া আর কোনো পরামর্শ আমরা নেব না। জীবনযাত্রার যে ব্যাপারগুলো বদলানো দরকার সেগুলো আগে আমাদেরই ঠিক কেের নিতে হবে। নিজের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে নিজের কথা ভাবতে হবে নিজের মনকে বলতে হবে মানুষের সাহায্য ছাড়া আমাদের উন্নতি সম্ভব নয়। সুতরাং মানুষের মঙ্গলময় দিকের কথা আমাদেরও ভাবতে হবে। নিজেদের মনোসংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। বেশি করে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতে হবে, মানুষের সুখ-দুঃখে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে হবে, অপরের ভালো কাজে উৎসাহ দিতে হবে। অপরের বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
আসুন, আমরা নিজেদের কাছে প্রশ্ন করিÑ * সমাজে উন্নতির জন্য আমরা কি চেষ্টা করছি? * বিরোধিতা, অভিযোগ, সমালোচনা ছাড়া আমরা কোনো গঠনমূলক কাজ করেছি? * সমাজের মঙ্গলের জন্য আমরা কি কখনো কোনো কাজের নেতৃত্ব দিয়েছি? * আমাদের প্রতিবেশী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমরা কীরূপ আচার-আচরণ করি? ইত্যাদি। এই প্রশ্নগুলো নিজের কাছে রাখলে আমরা নিজেকে সঠিকভাবে চিনতে ও জানতে সক্ষম হব। আমাদের ভুলত্রুটি কাটিয়ে আমরা ত্রুটিমুক্ত হতে পারব, মানুষ হিসেবে আমাদের অবস্থান অনেক উন্নত পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবে।
লেখক : সাংবাদিক। বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার (১ম স্বর্ণপদক) প্রাপ্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন