সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেলে ভাষা আন্দোলনের ৬৫ বছরেও নীলফামারীর সৈয়দপুরের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠেনি শহীদ মিনার। এমনকি সৈয়দপুর উপজেলায় নেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ-মাদরাসা কিন্ডাগার্টেন মিলে ২৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১৮টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। তবে কোনো মাদরাসায় শহীদ মিনার নেই। সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির অবহেলা, অর্থের অভাব ও প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার গড়ে তোলা হয়নি। এতে করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভাষা আন্দোলনের চেতনা জাগছে না। এত করে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাসও জানতে পারছেন না। উপজেলা শিক্ষা দফতরের সূত্র মতে, উপজেলার ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। এর মধ্যে ৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টি, মাধ্যমিক ২৮টি স্কুলের মধ্যে ৩টি, উচ্চ মাধ্যমিক ২৭টি কলেজের মধ্যে ৬টি কলেজে শহীদ মিনার রয়েছে। তবে সৈয়দপুরের ১৬টি মাদরাসা ও ৮৭টি বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে কোনো শহীদ মিনার নেই। বছরের অধিকাংশ সময় নির্মিত শহীদ মিনার অযতœ আর অবহেলায় পড়ে থাকে। কেবল অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আগে ধুয়েমুছে সাফ করা হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আহসান হাবিব জানান, প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা প্রয়োজন। এ কাজে ম্যানেজিং কমিটি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে সৈয়দপুর শহর এলাকা অবাঙালিদের আধিক্যের কারণে শহর এলাকায় বাংলার পাশাপাশি এখনো উর্দুতে মাইকিং করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন