মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বাগেরহাটে বিএনপির প্রার্থী বাছাই সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করছেন ত্যাগী নেতারা

প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটে বিএনপি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যোগ্য প্রার্থী দিতে পারেনি। এজন্য বিএনপির ত্যাগী নেতারা দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করছেন। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে অনেক ইউনিয়নে যোগ্য প্রার্থী না দেয়ায় দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিএনপির উপজেলা পর্যায়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নেতারা তাদের এলাকার নিজ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারেনি বলে ত্যাগী নেতাদের অভিযোগ। এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও কোন কোন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দেননি। আবার অনেক প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি বলে দলীয় নেতারা জানান। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটের জেলার চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে বিএনপি থেকে চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারেনি। মংলা উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদকের নিজ ইউনিয়ন সোনাইতলা থেকে কোন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি। বুড়ির ডাঙ্গা ইউনিয়নের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দেয়নি। এছাড়া একই উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে ছাত্রদলের সদস্য মোল্লা সফরুল হায়দার সুজনকে প্রার্থী দিয়েছেন। এদিকে রামপাল উপজেলা বিএনপির সভাপতির নিজ সদর ইউনিয়নে ত্যাগী ও যোগ্য প্রার্থী না দিয়ে দায়সারাভাবে ছাত্রদলের সদস্য মাসুদুর রহমান পিয়ালকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এছাড়া মল্লিকের বেড় ইউনিয়নে কেউ মনোনয়ন সংগ্রহ করেনি, রাজনগর ও গৌরাম্ভা ইউনিয়নে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেয়নি। কচুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বাড়ি থাকলেও এই ইউনিয়নে বিএনপি চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থী দিতে পারেনি। এছাড়া উপজেলার বাধাল, মঘিয়া, রাঢ়িপাড়া ইউনিয়নেও শক্তিশালী প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। বাগেরহাট সদর উপজেলার ৫ ইউনিয়ন যাত্রাপুর, ডেমা, গোটাপাড়া, বিষ্ণপুর ও বেমরতা ইউপিতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি বিএনপি দলীয় প্রর্থীরা। বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম খান বলেন, এক এগারো পর থেকে বাগেরহাটে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হতে থাকে। এমন কি দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন এবং ব্যক্তি চর্চায় সাংগঠনিক কর্মকা- দলকে বিপর্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ফলে বর্তমানে বাগেরহাট জেলার উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কোন কার্যক্রম নেই। সাম্প্রতি জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগেও যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের বাইরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ওই নেতা আরো বলেন, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে জেলার সকল কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করার দাবি জানান। বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের চাপের মুখে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। আবার অনেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তারা সবাই যোগ্য। দলের মধ্যে যারা সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা বলছেন তারা বিএনপির মঙ্গল চান না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন