মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপ সম্পাদকীয়

সাম্প্রতিক কিছু নির্বাচনের আলোকে দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ

| প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


মোহাম্মদ আবদুল গফুর : বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কেমন? এ প্রশ্নের বাস্তব জবাব পেতে হলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুষ্ঠু বিশ্লেষণের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে দেশে যে সরকার ক্ষমতাধীন রয়েছে, তা সকল দলের অংশগ্রহণে ধন্য কোনো সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। সকল রাজনৈতিক দল তো দূরের কথা দেশের দুটি প্রধান দলের অন্যতম বিএনপির বয়কট করা একটা একতরফা নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হয়। তাই বলে বর্তমান সংসদ যে একেবারে বিরোধী দল-শূন্য, তাও নয়। সংসদে বর্তমানে রীতিমতো মাননীয় বিরোধীদলীয় একজন নেত্রীও রয়েছেন, যিনি তার প্রথম ভাষণেই সরকারকে সকল কাজে সহযোগিতা দানের প্রতিশ্রæতি দিয়ে রেখেছেন। ফলে কার্যত জনগণ তাঁর দলকে গৃহপালিত বিরোধী দল বলেই ভাবতে অভ্যস্ত।
দেশের প্রকৃত বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বেজায় খুশি। তিনি জাতীয় সংসদে ভাষণ দানকালে এক পর্যায়ে বলেই ফেলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় এক হিসেবে ভালোই হয়েছে। সংসদে তাদের সমালোচনা শুনতে হচ্ছে না। এর অন্য অর্থ হলো জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নির্বাচিত সদস্যদের সমালোচনা শুনতে তাঁর ভালো লাগে না। এটা কিন্তু তাঁর গণতন্ত্রপ্রীতির প্রমাণ বহন করে না। কারণ গণতন্ত্রের মর্মকথাই হলো, বিরোধী মতামতের প্রতি সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ পোষণ।
দুঃখের বিষয় স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে দীর্ঘকালের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অবদান থাকলেও দেশের প্রথম সরকারের আমলেই গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি মাত্র সরকারি দল রেখে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছিল। এই ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে  সে সময় ৪টি মাত্র সরকারি পত্রিকা রেখে অন্য সকল পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে নানা দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হলেও এক পর্যায়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বসেন তদানীন্তন সেনা প্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সে সময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে ওই সামরিক ক্যুর প্রতি সমর্থন দান করেন দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার এই অকল্পনীয় ভূমিকার একটাই অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় যে, সাময়িক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত হওয়া ওই নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিল দেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বিএনপি। এর আরেক অর্থ হলো, নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের তুলনায় আওয়ামী নেত্রীর নিকট অধিক পছন্দনীয় হয়েছিল সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হওয়া সেনাপতির শাসন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মনে থাকার কথা, এরপর বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে জেনারেল এরশাদের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলেও প্রথম প্রথম অনেক দিন আওয়ামী লীগ নীরব ভূমিকা পালন করে। আওয়ামী লীগের নীরব ভূমিকার কারণে এরশাদের স্বৈরচারী শাসন দীর্ঘায়িত হওয়ার সুযোগ পায়। অন্যদিকে রাজনীতিতে নবাগত বেগম খালেদা জিয়া তাঁর সংগ্রামী ভূমিকার কারণে জনগণের কাছে আপসহীন নেত্রী হিসেবে আখ্যায়িত হন। পরবর্তীকালে একপর্যায়ে আওয়ামী লীগও বাস্তবতা বিবেচনায় এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।
এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের শেষ দিকে দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে নির্বাচনকে সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে দেশের দুই প্রধান দলের সম্মতিক্রমে সুপ্রিম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যেমনটা আশা করা গিয়েছিল, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। শেখ হাসিনার বিশ্বাস ছিল দেশের প্রাচীনতম সুসংগঠিত দল আওয়ামী লীগই জয়ী হবে। নির্বাচনে নিজস্ব ভোটদান কেন্দ্রে ভোট দানের পর শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতাকালে একপর্যায়ে বলেন, আমি সব জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, ভোটে হেরে গিয়ে কেউ যেন এর মধ্যে আবার কারচুপি আবিষ্কার না করে। ভোট গণনা শেষ হলে দেখা গেল, আওয়ামী লীগ নয় জয়ী হয়েছে বিএনপি। অবলীলাক্রমে তিনি বলে ফেললেন, নির্বাচনে সূ² কারচুপি হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও আওয়ামী লীগ জয়ী না হলে তাতে কারচুপি হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। বলাবাহুল্য, এট জনগণের অবাধ রায়ের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধের প্রমাণ বহন করে না।
অতঃপর স্বাভাবিকভাবে বেগম খালেদা জিয়া হন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনা হন সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী। খালেদা সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে প্রধানত শেখ হাসিনার দাবির মুখেই নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে সকল জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান সংবিধানে বিধিবদ্ধ হয়। বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থাই যে গণতন্ত্রের নিরিখে সর্বাধিক উপযোগী তা প্রমাণিত হয়। কারণ এই ব্যবস্থার অধীনে বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তার মাধ্যমে দুই প্রধান দল পর পর নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ লাভ করে।
পরবর্তীকালে এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার শাসনামলে সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের পরিবর্তে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের বিধান সংবিধানে গৃহীত হয়। এভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিলে দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে অতীত সমঝোতা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সে নির্বাচন বয়কট করে। দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় নির্বাচন হয়ে পড়ে নির্বাচনী প্রহসন। জনগণ সে নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সরকার-বিরোধী ভোটাররা তো দূরের কথা অনেক আওয়ামী নেতা-কর্মীও সে নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেননি। কারণ তারাও জানতেন, তারা না গেলেও তাদের ভোটদানের ব্যবস্থা করা হবে দলের পক্ষ থেকে। কার্যত হয়ও তাই। বিরোধী দলের অনুপস্থিতির সুযোগে ফাঁকা ভোট কেন্দ্রে সরকার দলীয় স্বল্পসংখ্যক নেতাকর্মীই ইচ্ছা মতো ব্যালট পত্রে সিল মেরে প্রদত্ত ভোট সংখ্যা বিরাটভাবে বাড়িয়ে দেখানোর সুযোগ গ্রহণ করেন। স্বাভাবিক কারণেই এ নির্বাচনকে জনগণ ভোটারবিহীন নির্বাচন আখ্যা দেয়।
এরপর বর্তমান সরকারের আমলে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবগুলোতে একইভাবে নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে আওয়ামী প্রার্থীদের ‘বিজয়’(!) নিশ্চিত করা হয়েছে। গাজীপুর প্রভৃতি কতিপয় পৌরসভায় ব্যতিক্রমী ধরনের স্বাধীন নির্বাচন হওয়ায় সেসব স্থানে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হন। তবে পরবর্তীকালে আওয়ামী সরকার নানা অজুহাতে তাদের নির্বাচিত পদ থেকে অপসারণ করে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, নির্বাচনে কোনো সরকারবিরোধী প্রার্থী জয়ী হলেও বর্তমান সরকার তাদের বিজয় ছিনিয়ে নিতে সদা প্রস্তুত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যতদিন এ সরকার ক্ষমতায় আছে ততদিন দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
এ পর্যায়ে দেশে সর্বশেষ গত সোমবার কিছু সংখ্যক উপজেলা ও পৌরসভায় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণী এখানে বিভিন্ন পত্রিকা থেকে তুলে দেয়া হচ্ছে। দৈনিক ইনকিলাবের গত মঙ্গলবারের সংখ্যায় প্রথম পৃষ্ঠায় ৫ কলাম দীর্ঘ যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার প্রধান শিরোনাম ছিল : ‘আগ্রহ নেই ভোটারদের’। সংবাদ বিবরণীতে বলা হয়, ‘দেশের ৭ বিভাগের ১৪টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে গতকাল নির্বাচন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘণ্টা ভোট গ্রহণে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। ভোটকেন্দ্রে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তেমন দেখা যায়নি। অনেক ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে দিনভর ফাঁকা। দায়িত্বরত পোলিং, প্রিসাইডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বরত পুলিশ আনসার সদস্যরা অলস সময় পার করেছেন। স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার পরও উপজেলা ও পৌরসভায় ভোট হয়েছে সেখানে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা তেমন দেখা যায়নি। নিরুত্তাপ ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পর কয়েক বছর ধরে প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক নির্বাচন না হওয়ায় ভোটাররা কার্যত ভোট দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দীর্ঘদিন থেকে জনগণ ভোট দিতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’
দৈনিক যুগান্তরে গত মঙ্গলবার এ সম্পর্কে যে সংবাদ প্রকাশিত হয় তার শিরোনাম ছিল : ‘ভোটারশূন্য বেশির ভাগ কেন্দ্র/প্রকাশ্যে সিল!’ তথ্য বিবরণীতে বলা হয় : ‘দেশের ১৪টি উপজেলা পরিষদ (উপনির্বাচনসহ), ৪টি পৌরসভা নির্বাচনে সোমবার বেশির ভাগ কেন্দ্র ছিল ভোটারশূন্য। এ ছাড়া বেশ কিছু কেন্দ্রে জালভোট দেয়ার অপরাধে ৩ আওয়ামী লীগ কর্মীকে কারাদÐ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নানা অনিয়মের অভিযোগে কয়েকটি স্থানে নির্বাচন বয়কট করেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। সবচেয়ে বেশি অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে। এখানে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের প্রকাশ্যে সিল মারতে দেখা যায়। এছাড়া পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়ার অভিযোগও উঠেছে। অনিয়মের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ছবি ডিলিট করে দেয়া হয়।’
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল : ‘নিরুত্তাপ ভোট, ১১টিতে বিজয়ী আ.লীগের প্রার্থীরা।’ তথ্য বিবরণীতে বলা হয় : ‘সাত বিভাগের ১৪টি উপজেলা ও চারটি পৌরসভায় গতকাল সোমবার নিরুত্তাপ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। ১৬টি বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে ১১টি উপজেলা ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান বা মেয়রের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন দলটির বিদ্রোহী ও অন্য দলের প্রার্থীরা।’
দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় এ সম্পর্কিত সংবাদের শিরোনাম ছিল : ‘কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, এজেন্টদের মারধর, নজিরবিহীন কম ভোট পড়েছে।’
বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনের যেসব বিবরণী আমরা পেয়েছি তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের চরম  দৌরাত্ম ধরা পড়লেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকরী প্রার্থীদের বাড়াবাড়ি অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় বিরোধী দলের প্রার্থীরাও দু’একজন জয়ী হওয়ার সুযোগ পান। সুতরাং কিন্তু মনে রাখতে হবে এসব স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের ক্ষেত্রে কোনো হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই।দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে আমাদের পরবর্তী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হয় কিনা তা দেখা পর্যন্ত অপেক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন