মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা সরকারি খাস জমি প্লট আকারে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই খাস জমি বিক্রি করে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে একদিকে সরকারি সম্পত্তি বেহাত হচ্ছে অপরদিকে সহজ সরল ক্রেতারা না বুঝে ওই জমি কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ভূূূমিদস্যু চক্রটি সরকারি খালের অনেক জমিও প্লট আকারে বিক্রি করছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এই চক্রটির সঙ্গে স্থানীয় সেটেলমেন্ট ও ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত বলে জানা গেছে।
মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী মৌজায় ৪৩৮ ও ১৪১১ দাগে প্রায় ৫০একর সরকারি খাস জমি (নদী শ্রেণি) রয়েছে। এরমধ্যে সরকার ১৯৮১-৮২ সালে কিছু জমি স্থানীয় লোকজনকে বন্দোবস্ত দেয়। পরবর্তীতে তারা ওই জমি তাদের নামে রেকর্ডভুক্তও করেন। এই রেকর্ডীয় সম্পত্তির বাইরে অবশিষ্ট সম্পত্তি সরকারি সম্পত্তি হলেও স্থানীয় ভূমিদুস্যুরা নানাভাবে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে তা প্লট আকারে বিক্রি করছেন। এই জালজালিয়াতির সাথে স্থানীয় সেটেলমেন্ট ও ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত বলে জানা গেছে। এছাড়া মির্জাপুর পৌরসভার একমাত্র খালের (বারোখালি) জমিও একইভাবে ভূমিদস্যুরা বিক্রি করে আসছে। এতে এক সময়কার বৃহৎ খালটি নানাভাবে দখল করায় সরু ড্রেনের মত হয়ে পড়েছে। মির্জাপুর পৌরসভাস্থ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন এই সরকারি সম্পত্তির আনুমিক মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা হবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বাওয়ার কুমারজানী মৌজার ৪৩৮ দাগে ওই সরকারি সম্পত্তিতে আরজু মিয়া নামে জনৈক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় ভূূূমি অফিসের লোকজন তাতে বাঁধা দেন ও নিষেধ করেন। এ বিষয়ে আরজু মিয়া বলেন, গোড়াইল গ্রামের মো. সাইজউদ্দিনের কাছ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করছি। সাইজউদ্দিন মিয়া কিভাবে ওইজমির জমির মালিক হলেন জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূূূমি) মোছা: নাদিরা আখতারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি দুইদিনের ট্রেনিংয়ে আছি। ট্রেনিং শেষে ফিরে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন