আশরাফুল আলম, রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) থেকে : ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল পোস্ট অফিসের পেছনে (নিমুয়া) নামে একটি প্রাচীন পুকুরের উপর কেন্দ্রীয় নেসারীয়া দারুস সুন্না নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসাটি ১৯৮৯ সালে স্থাপিত হয়। এলাকার অনুদান দিয়ে বর্তমানে ৪ কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। মাদ্রাসায় নূরানী হতে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত চালু আছে। আবাসিক এবং অনাবাসিক প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র রয়েছে। মাদ্রাসাটি দক্ষ শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। মাদ্রাসার ছাত্র এবং শিক্ষকরা জানান, মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন যাবৎ নেই কোন প্রস্রাবখানা এবং পায়খানা। মাদ্রাসা লাগোয়া পৌর মার্কেটের সৌচাগারটি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ভেসে আসে মাদ্রাসায়। ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা জানান, মাদ্রাসায় প্রবেশ করলে নাক বন্ধ করে যেতে হয়। দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। শিশু বাচ্চাদের যে কোন মুহূর্তে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশংকা করছেন মাদ্রাসার মহতামীম মাজেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ছাত্রদের নিয়ে অতিকষ্টে আছেন। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ মোবারক আলী, সম্পাদক আইনুল হক ও আবুল হোসেন মজুমদার পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলেছেন। এখন পর্যন্ত এর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। শিক্ষক মাজেদুল ইসলাম বলেন, সরকারি অনুদান হিসেবে ১৪-১৫ অর্থবছরে এডিপি প্রকল্প হতে মাদ্রাসার নামে ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাদ্দকৃত ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ল্যাট্রিন প্রস্রাবখানা করে দেয়ার কথা ছিল। অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত তা নির্মাণ করা হয়নি। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলীর যোগসাজশে মাদ্রাসা কমিটির লোকজন বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে নাকি উন্নয়ন করেছে? বর্তমানে মাদ্রাসাটি অস্বাস্থ্যসম্মত অবস্থায় রয়েছে। দেখার কেউ নেই। মাদ্রাসায় ল্যাটিন, প্রস্রাবখানা এবং বাথরুম জরুরি হয়ে পড়েছে বলে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা জানান। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানুর জানান, বিষয়টি তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন