চট্টগ্রাম ব্যুারো : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে টেকসই ও সুসংহত শিল্পখাত বিকাশের পাশাপাশি উৎপাদিত শিল্পপণ্য বৈচিত্রকরণে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ইতিবাচক অবদান রাখছে। গতকাল (রোববার) রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম চেম্বারের উদ্যোগে মাসব্যাপী ২৫তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (সিআইটিএফ-১৭) উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ এ বেসরকারী উদ্যোক্তাদের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা ও নীতি সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে জিডিপি-তে সার্বিক শিল্পখাতের অবদান ৩১.৫৪ শতাংশ যেখানে ম্যানুফেকচারিং শিল্পখাতে মোট প্রবৃদ্ধি ১১.৬৯ শতাংশ উল্লেখ করে তৈরী পোশাক শিল্প, জাহাজ নির্মাণ, জুতা ও ওষুধ শিল্পের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০৫০ সালে বাংলাদেশ হবে ২৩তম অর্থনীতির দেশ।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এবং চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সিআইটিএফ’১৭ এর চেয়ারম্যান মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ, অনারারী কনস্যূল, ডিপোম্যাটস, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিসিসি কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভিন্ন ট্রেডবডি নেতৃবৃন্দ, অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিসহ নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জিডিপিতে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত চিহ্নিত সমস্যাগুলো দ্রæত সমাধান করতে হবে। তিনি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ চট্টগ্রামের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বেগবান করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) বলেন, বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য বিকাশে বিশেষ করে রফতানী পণ্যের প্রচার, বাজার স¤প্রসারণ এবং পণ্যের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন একটি প্রয়োজনীয় ও যথার্থ উদ্যোগ।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান প্রবৃদ্ধিতে ২০২১ সালের মধ্যে রফতানি ষাট বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত উন্নীত করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রামসহ সমুদ্র বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন নতুন কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ এবং রেল, নৌ ও সড়ক যোগাযোগের সুবিধা কাজে লাগাতে বে-টার্মিানাল সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন