মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুরে স্কুল শিক্ষককের শারীরিকি নির্যাতনের শিকার হওয়া ৮ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর ৫ মাসের গর্ভের সন্তানকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের চাষার গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
সরেজিমনে এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের জালালপুর আইডিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক স্থানীয় সম্ভ্রান্ত, ধর্ণাঢ্য ব্যক্তি হাজী সুলতান মাদবরের (৫০) স্ত্রী দীর্ঘদিন আগে মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি নিজ গ্রামে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। এবং তার ছেলে মেয়েরা ঢাকায় থাকেন। ফলে শিক্ষক হিসেবে জালালপুর চাষার গ্রামে পরিচিত পাওয়া হাজী সুলতান মাদবর গ্রামের সকল ঘরেই অবাধ যাতায়াত করতেন। এই যাতায়াতের সূত্র ধরে একই এলাকার জালালপুর আইডিয়াল স্কুলের ৮ম শ্রেণীর হত দারিদ্র্য পরিবারের এক স্কুলছাত্রীর উপরে তার কু-নজর পড়ে। মেয়েটিকে ফুসলিয়ে দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক মেলামেশা করার কারণে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এদিকে গত এক মাস ধরে এই ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার প্রভাবশালী হাজী সুলতান মাদবরের পরিবার হত-দারিদ্র্য স্কুল ছাত্রীটির পরিবারকে নানা রকমের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। পরে হুমকি-ধামকিতে ভয় পেয়ে মেয়েটির পরিবার ধর্ষক হাজী সুলতান মাদবরের উদ্যোগ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটির গর্ভপাত ঘটায়।
নির্যাতিত মেয়েটির বড় বোন বলেন, আমার আব্বা গরিব মানুষ। আমার বোনকে যে গর্ভবতী করেছে সে অনেক ধনী আর প্রভাবশালী। তাই তাদের ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের করার কিছু নেই।
এসময় নির্যাতিতার বড় বোন আরো বলেন, তিন দিন আগে শিবচর উপজেলায় লোক দিয়ে আমার ছোট বোনের ৫ মাসের গর্ভের সন্তানের গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। কারণ তারা বড়লোক মানুষ। তারা তো আমার বোনের সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতি দেবে না। এ ব্যাপারে জালালপুর আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিষ কুমার কুমার বলেন , আমাদের স্কুলের ৮ম শ্রেণির ওই ছাত্রীটি গত ৩ মাস ধরে স্কুলে আসছে না। এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি বলেন, ধুরাইলের এক স্কুলছাত্রীর ৫ মাসের গর্ভপাতে করানোর ঘটনা আমি শুনেছি। এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন