নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারে বিএনপি প্রার্থীরা
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলার ৭৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ও শেষ দফায়। ইউপি নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সংগঠনের প্রার্থী ও সমর্থকরা সক্রিয় থাকলেও নিষ্ক্রিয় বিএনপির প্রার্থীরা। গণমাধ্যমের কর্মীরা তথ্য সংগ্রহ করার জন্য যোগাযোগ করলে তারা একেক সময় একেক কথা বলে এড়িয়ে যাচ্ছে। এরকম ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুর বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলায়। গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নির্ধারিত সময়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত থাকেননি সময়মতো এবং সব মোবাইল নম্বর বন্ধ রেখে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু গণমাধ্যমকে এভাবে এড়িয়ে চলার কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। নির্বাচন বিষয়ে ফরিদপুরের ঊর্ধ্বতন নেতা-কর্মীদের কোনো তৎপরতা নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতারা জানান, ফরিদপুরে বিএনপি না থাকার মতো আছে। তার উপর তিন-চারটি গ্রুপে বিভক্ত। এই বিভক্ত হওয়ার কারণে নির্বাচন করার মতো কোনো প্রার্থীর উৎসাহ নেই। তারা আরো বলেন, একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলে কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকার মতো খরচ হবে, এত টাকা খরচ করার পরে বর্তমান পরিস্থিতে টিকে থাকতে পারবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। ইতিপূর্বে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করে অনেক প্রার্থী নিঃস্ব হয়ে গেছে। ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনটি বিএনপি প্রার্থীদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জের মুখে। নির্বাচিত হওয়ার পরও টিকে থাকতে পারবে, না বহিষ্কার হয়ে যাবে। এটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোট দিবে সাধারণ জনগণ। আর বহিষ্কার করে দিবে একজন কেরানীর স্বাক্ষরে। এ বিবেচনা নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন