রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রাউজানে পচা চিংড়ির মাথায় জেলি ঢুকিয়ে বিক্রি

| প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এম বেলাল উদ্দিন, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : রাউজানরে বাজারগুলোতে এখন বড় গলদা চিংড়ি বেশ চোখে পড়ার মতো। দামও তুলনামূলকভাবে কম। তাই স্বল্প ও নি¤œ আয়ের মানুষ তাদের সাধ মেটাতে এ মাছ কিনে থাকেন। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ওসব চিংড়ি মাছে বিষাক্ত উপাদান মিশাচ্ছে। প্রতারণায় এবার যুক্ত হয়েছে চিংড়ি মাছে জেলি ইনজেক্ট করা। গ্রামীণ হাটবাজার থেকে এসব চিংড়ি কিনে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞদের মতে পচা মাছ টাটকা দেখাতে ও ওজন বাড়ানোর কৌশল নিয়ে এসব কাজ করছে প্রতারক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। এ ধরনের প্রতারণায় লিপ্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা না গেলে প্রতিদিন প্রতারণার জাল বিস্তার হতে থাকবে। জেলি দেয়া পচা চিংড়ি মাছ খেয়ে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রামণ হতে পারে বলে বিভিন্ন চিকিৎসকরা অভিমত দিয়েছে। তারা বলেছেন খাদ্যের মধ্যে থাকা যে কোনোর ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মানব শরীরের জন্য কমবেশি ক্ষতিকারক। তাছাড়া মাছের ভিতর কি ধরনের জেলি প্রবেশ করাচ্ছে তা পরীক্ষা না করে কতটুকু ক্ষতিকারক বিষয়টি নির্ণয় করা কঠিন। ক্যান্সারের মতো রোগও এ কারণে হতে পারে। তাদের অভিমত এ যেন টাকা দিয়ে মৃত্যু কেনা। রাউজানের বেশি চিংড়ি বিক্রি হয় পৌরসভার ফকিরহাট, নোয়াপাড়া পথেরহাট, পাহাড়তলী ও গহিরা চৌমুহনীর বাজারে। ভোর সকালে অন্যান্য মাছের সাথে হাটবাজারের খুচরা চিংড়ি সংগ্রহ করে নোয়াপাড়া ও রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর আড়ত সমূহ থেকে। হাটবাজারের খুচরা বিক্রেতাদের দাবি তারা আড়ত থেকে চিংড়ি কিনে এনে খুচরা বিক্রি করে থাকে। এ ধরনের কোনো কাজের সাথে তারা জড়িত নয়। রাউজান পাহাড়তলী চৌমুহনীতে ভাড়া বাসায় থাকেন নোয়াপাড়ার রহমানয়িা এন্টারপ্রাইজের মালকি ব্যবসায়ী ছাদেকুর রহমান। তিনি বলেছেন গত শনিবার পাহাড়তলী চৌমুহনী বাজার থেকে কিনে নিয়েছিলেন এক কেজি ছোট আকারের চিংড়ি। দাম নেয়া হয়েছে ৬শ টাকা। বাড়ীতে নিয়ে চিংড়িগুলো রান্নার উপযোগী করতে গিয়ে দেখেন প্রতিটি চিংড়ির মাথার ভিতর জেলি ঢুকানো। পিচ্ছিল এসব পদার্থ এমন ভাবে লাগানো হয়েছে যা বাইর থেকে দেখলে বুঝা খুবই দুরূহ। এমন দশ্য নজরে এলে তিনি ওই বিক্রেতার কাছে এই নিয়ে কথা বলতে যায়। তাকে জবাব দেয়া হয় তারা ওই চিংড়িগুলো বিক্রির জন্য আনেন রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর মাছের আড়ত থেকে। মাছের ভিতর কি দিচ্ছে সরবরাহকারীরা ভাল জানে। এই বিষয়ে কারো ধারণা নেই। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন মাছের মধ্যে জেলি ডুকিয়ে দেয়া হয় ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করতে। জেলি দিলে পঁচা মাছও সতেজ চকচকে দেখায় ওজনেও ভারি হয়। এ কারণে বিভিন্ন ব্যবসায়ী এই কৌশলে ক্রেতার সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন