রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রসুন উৎপাদন লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাবে বাজার মূল্যে সাতক্ষীরার কৃষক খুশি

| প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : আবাদ বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরা জেলায় চলতি মৌসুমে রসুন উৎপাদন লক্ষ্য ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২০১৬-১৭ মৌসুমে সাতক্ষীরায় রসুন উৎপাদনের জন্য আবাদ নির্ধারণ করা হয় ৫৯৮ হেক্টর। সেখানে আবাদ হয়েছে ৭০০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে। ফলে উৎপাদন লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলাতে রসুনের আবাদ হয়েছে ৭০০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাতে ২৪০ হেক্টর, কলারোয়ায় ১৬২ হেক্টর, তালায় ২৭০ হেক্টর, দেবহাটায় ১২ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৩৬ হেক্টর, আশাশুনিতে ২৫ হেক্টর এবং শ্যামনগর উপজেলাতে ৫৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০২ হেক্টর পরিমান বেশি আবাদ হয়েছে। সূত্রটি আরো জানায়, গেল বছর এ জেলায় রসুনের আবাদ হয়েছিলো ৫৫০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে। অন্যদিকে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় চলতি মৌসুমে রসুন উৎপাদন করে লাভবান হয়েছে সাতক্ষীরার অনেক কৃষক। এরমধ্যে জেলার কলারোয়া উপজেলার পাচপোতা গ্রামের কৃষক মোতালেব হোসেন প্রতি বছরই অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কম বেশি রসুন উৎপাদন করে থাকেন। এবারও দেড় বিঘা পরিমাণ জমিতে তিনি রসুন চাষ করেন। ইতিমধ্যে ক্ষেতের রসুন উত্তোলন করা হয়েছে তার। কৃষক মোতালেব বলেন, দেড় বিঘাতে এবার কাঁচায় ৪০ মন রসুন উৎপাদন করেছেন। বাজারে প্রতি মন রসুন ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এতে তার ৬০ হাজার টাকার মত লাভ হয়েছে বলে জানান তিনি। সাতক্ষীরা জেলা কাচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রওশন আলী জানান, অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে বাজারে রসুনের দাম খুবই ভালো। তিনি আরো বলেন, নতুন রসুন বাজারে উঠলেই কাঁচায় প্রকি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দাম পেয়েছে কৃষক। ফলে রসুন চাষে লাভবান হয়েছে এবার কৃষক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভাগ থেকে আরো জানা গেছে, চলতি ২০১৬.১৭ মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলাতে রসুন উৎপাদন লক্ষ্য নিধারন করা হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ টন। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাতে ১ হাজার ৯২০ টন, কলারোয়ায় ১ হাজার ২৯৬ টন, তালায় ২ হাজার ১৬০ টন, দেবহাটায় ৯৬ টন, কালিগঞ্জে ২৮৮ টন, আশাশুনিতে ২০০ টন এবং শ্যামনগরে ৪৪০ টন। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজি আব্দুল মান্নান জানান, মসল্যাজাত ফসল হিসেবে রসুনের চাহিদা বারো মাসই। ফসলটি সাতক্ষীরা জেলা উৎপাদন খুবই সম্ভাবনাময় হলেও তুলনামূলক আবাদ হয় কম। তবে অন্যবারের চেয়ে এবার রসুনের কিছুটা বেড়েছে। বাজারে ভারো দাম থাকায় কৃষকরাও লাভবান এবার রসুন উৎপাদন করে। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরার মাটির উর্বরতা এতোই চমৎকার হেক্টর প্রতি কাঁচায় ৮ টন পর্যন্ত রসুন উৎপাদন হয়েছে সাতক্ষীরায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন