রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মুদি দোকানে এন্টিবায়োটিকসহ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, নীরব কর্তৃপক্ষ

| প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) উপজেলা সংবাদদাতা : কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই দামুড়হুদার বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামগঞ্জের, মুদি দোকান, স্টেশনারী, কনফেকশনারীসহ বিভিন্ন দোকানে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। কোনো প্রকার ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এসব মুদি দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জীবনরক্ষাকারী নানা ধরনের ওষুধ। সেই সাথে বিক্রি হচ্ছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক সিরাপ, ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা সদর, জয়রামপুর, ডুগডুগি, দর্শনা, মদনা, বড়বলদিয়া, কুড়ালগাছি, কার্পাসডাঙ্গা, আটকবর, জগন্নাথপুর বাজারসহ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সাধারণ চা ও মুদির দোকানেও বিক্রি করা হচ্ছে জীবনরক্ষাকারী নানা ওষুধ। এসব দোকানে ওষুধ কিনতে কোন প্রকার ডাক্তারী ব্যবস্থাপত্রের প্রয়োজন হয় না। চাওয়ামাত্র পাওয়া যায় এন্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন কোম্পানীর নানা ধরনের ওষুধ। এসব ওষুধের মধ্যে এমন ওষুধও রয়েছে যা একমাত্র ডিগ্রিধারী ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন ক্রমেই বিক্রয়যোগ্য নয়। এই সব এলাকায় শুধু মুদি দোকানেই নয়, এখানে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসী। এমনকি এসব দোকানে বিক্রেতাদের নেই ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতাও। তারপরও তারা অবাধে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ওষুধ বিক্রি করে চলেছে। যে কোন বয়সের মানুষের পেটে গ্যাস, যে কোন ধরনের জ্বর, সর্দি, কাশি মাথা, শরীর ও বুকব্যথা, এসব রোগের জন্য এখন আর চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না। রোগের বর্ণনা দিলে দোকানদারই নানারকম ওষুধ দেয়। সেই সাথে বলে দেয় খাওয়ার নিয়মও। এখানে ওষুধ নিতে কোন প্রকার টেস্টের প্রয়োজন হয় না। তাই গ্রামের অশিক্ষিত ও হতদরিদ্র মানুষেরা বিভিন্ন রোগের জন্য এখান থেকে ওষুধ কিনে সেবন করছে। এমনকি শিশুদেরকেও সেবন করতে দেওয়া হচ্ছে এসব ওষুধ। এখন গ্রামীণ জনপদেন বেশিরভাগ মুদি দোকান, চা দোকানে সহজেই এসব ওষধ পাওয়া যায়। দোকানদাররা স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে নামসর্বস্ব কোম্পানির সস্তাদরের নি¤œমানের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাইকারী দামে কিনে অবৈধভাবে বিভিন্ন মালামালের সাথে ওষুধ বিক্রি করছে। ওষুধ নীতিমালা অনুযাযী শুধু ড্রাগ লাইসেন্সধারী দোকানেই এসব ওষুধ বিক্রয় করার কথা। কিন্তু তা না হয়ে এখন মুদি দোকানেও চলছে নানা ধরনের ওষুধের রমরমা ব্যবসা। এসব অবৈধ ওষুধ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এমনটা চলছে বলে জানান অনেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মুদি দোকানদার বলেন, আমরা জটিল কোনো রোগের ওষুধ বিক্রি করিনা। গ্যাস, মাথাব্যথা, জ্বর, কাশি এ ধরনের রোগের ওষুধ বিক্রি করি। এতে বরং মানুষের উপকার হয়। মুদি দোকানে ওষুধ বিক্রির কোনপ্রকার অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা ড্রাগ সুপার সুকর্ণ আহমেদ বলেন, লাইন্সেস ছাডা ঔষধ বিক্রয় সর্ম্পূণ অবৈধ। লাইসেন্সকৃত দোকানেও প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রয় করা যাবে না। ফার্মেসী ছাড়া অন্য কোন দোকানে ওষুধ বিক্রির বিষয়ে আমার বিছু জানা নেই। তবে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন