বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় গতকাল আরও এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট পাঁচ নারীর লাশ উদ্ধার হলো। বুধবার দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর সোনাখালি এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভাসমান অবস্থায় ওই লাশ উদ্ধার করে। তার নাম রীনা বেগম (২২)। স্বামীর নাম নওয়াব আলী। তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুঁটিখালি গ্রামের হালিম হাওলাদারের মেয়ে। নিহতের পরিবার তাকে শনাক্ত করে। দুর্ঘটনার দ্বিতীয় দিন বুধবার সকাল থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বলছে ট্রলারডুবির ঘটনায় নারী ও শিশুসহ এখনও অন্তত ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে নিখোঁজদের উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের খুলনা, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও বরিশাল ইউনিটের চারটি দল অংশ নিয়েছে। এছাড়া নৌবাহীর ২টি ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে চালিয়ে যাচ্ছে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (এডি) লিয়াকত আলী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুপুরে পানগুছি নদীর তিন কিলোমিটার উত্তরের সোনাখালি এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় রীনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে। তাকে তার স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ছোলমবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে মোরেলগঞ্জ পুরাতন থানার ঘাটে যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়। মঙ্গলবার মা-মেয়েসহ চার নারীর লাশ উদ্ধার করা হয় এবং নিখোঁজ হন অন্তত ১৮ জন । এদিকে ট্রলার ডুবির ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজদের সন্ধান না পেয়ে নদীপাড়ে ভিড় করেছেন স্বজনেরা। উদ্ধারকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি নিজেরাও ট্রলার নিয়ে নদীতে খুঁজে ফিরছেন তাদের নিখোঁজ হওয়া স্বজনদের।
তিনি আরও বলেন, পানগুছি নদীর দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুই পাশের ১০ কিলোমিটারজুড়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। যেহেতু নদীতে জোয়ার-ভাটার তীব্র স্রোতে রয়েছে তাই বিস্তৃত এলাকাজুড়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন