স্টাফ রিপোর্টার : বোমাহত র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা চলছে র্যাবের এই চৌকষ গোয়েন্দা কর্মকর্তার। গতকাল তার চিকিৎসায় ঢাকায় দেশের বিখ্যাত নিউরোসার্জনদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তবে তারা কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সিঙ্গাপুরে লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদকে যে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল, এখানেও সে ধরনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে সিএমএইচের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) লে. কর্নেল আজাদের চিকিৎসা চলছে। গতকাল তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড তার শারীরিক বিষয়ে পর্যালোচনা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ সিলেটের শিববাড়ির আতিয়া মহল বাড়িতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলাকালে জঙ্গিদের ফেলে রাখা বোমার বিস্ফোরণে লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ গুরুতর আহত হন। বিস্ফোরিত বোমার একটি স্পিøন্টার লে. কর্নেল আজাদের এক চোখ দিয়ে ঢুকে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। ওই দিন রাতেই হেলিকপ্টারে করে তাকে সিলেট থেকে ঢাকায় সিএমএইচে আনা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৬ মার্চ রাত ৮টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সিঙ্গাপুরের প্যারাগন মেডিক্যাল সেন্টারের নিউরো বিশেষজ্ঞ ডা. ম্যাথিউর নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে লে.কর্নেল আবুল কালাম আজাদকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফেরত এনে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, লে, কর্নেল আবুল কালাম আজাদের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় তার পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ক্রমেই বাড়ছে। তারা লে. কর্নেল আজাদের জন্য শুভাকাক্সক্ষীসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। ২০১১ সালের দিকে মেজর আজাদ হিসাবে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক হিসাবে যোগ দেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে তিনি লে.কর্নেল পদে পদোন্নতি নিয়ে গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন