শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কাঁচা গাছ ও বাঁশের সাথে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের লাইন, বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

| প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বৈদ্যুতিক খুঁটি হিসেবে কাঁচা গাছ ও বাঁশ ব্যবহার করায় বিদ্যুৎ লাইন যে কোনো মুহূর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান, লামা উপজেলা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ থেকে চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় সড়কের পাশ দিয়ে বাঁশের খুঁটিতে খোলা তার দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। ওই লাইন থেকে শতশত গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। ১০-১২টি সেচ পাম্প ও বাসাবাড়িতে বাঁশের খুঁটিতে খোলা তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কারণে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয়রা জানান, গতবছর ওই তারে জড়িয়ে একব্যক্তি মারা গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, লামা বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে প্রায় এক হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেও বছরের পর বছর বিদ্যুৎ বিভাগ খুঁটি ও তার মেরামত করেনি। ঝুঁকির মধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা গ্রাহকরা হাই ভোল্টেজের বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। নানা সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ লো-ভোল্টেজ হয়ে যাচ্ছে। দ্রæত সময়ে মেরামত না করলে বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে স্থানীয় এলাকাবাসী। সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, তার ইউনিয়নে গাছ-বাঁশের সাহায্যে টানানো লাইন এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে হাত বাড়ালেই ধরা যাবে। তারগুলো খুবই পুরনো হওয়ায় প্রায়ই তার ছিড়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। কয়েকজন কৃষক জানান, গাছ ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন টেনে সরবরাহ করা হয়েছে। লামা বিদ্যুৎ বিভাগে বার বার অভিযোগ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এ লাইনগুলো মেরামত করানো হচ্ছে না। এ লাইনের তার প্রায়ই ছিড়ে রাস্তায় পড়লেও দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে লামা বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চকরিয়া উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলম আলো জানান, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হয়েছে লামা থেকে। এ দীর্ঘপথ পাহাড়-পর্বত অতিক্রম করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় ও মেরামত না করায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের আন্তরিকতার কারণে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই ইউনিয়নে বর্তমানে এক হাজার গ্রাহক রয়েছে। কিন্তু গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও জটিলতার কারণে নতুন সংযোগ দেয়া যাচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন