বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

গোলপাতার জীর্ণ ঘরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম

| প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের ৩২নং আগরদাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্লাসরুম ও বেঞ্চের অভাবে চরম বিপত্তির মধ্যে স্কুল পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম মনকষ্টে আছেন। উপজেলার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত এই বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। সরকারিকরণ করা হয় ১৯৭৩ সালে। শুরু থেকে এলাকার মানুষের অকৃত্রিম সহযোগিতা ও ভালোবাসায় পুষ্ট হয়ে বিদ্যালয়টি চলে আসছে। লেখাপড়ার মানও বরাবর ভালো। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৩৪২ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন ৭ জন। কিন্তু শ্রেণিকক্ষ আছে মাত্র ৩টি। বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় একটি বাঁশের খুঁটি, চটার বেড়া আর সন/গোলপাতার ছাউনি দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করে কোনো রকমে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে। এই কক্ষে ঝড়-বৃষ্টি, শীত, রৌদ্রে ক্লাস নেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে। ক্লাস রুমের অভাব ও প্রয়োজনীয় বেঞ্চ-টেবিল না থাকায় সমস্যা জর্জরিত হয়ে অতি কষ্টে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে। ৩য় শ্রেণিতে ৬০ জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ৭৮ জন ও ৫ম শ্রেণিতে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও ক্লাস রুমের অভাবে শাখা শ্রেণি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী নিয়ে একজন শিক্ষককে ক্লাস নিতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক এস এম আলাউদ্দিন জানান, এরপর তাদের স্কুলের সার্বিক রেজাল্ট খারাপ নয়। বরং কয়েকবার উপজেলা শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ২০১৩ সালে উপজেলায় সর্বোচ্চ এ+ (১৪ জন) ও ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ এ+ (১৫ জন) পাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এছাড়া বিদ্যালয়টি ২০০২ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রতি বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পড়ালেখার মান আরও ভালো করা এবং সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নের জন্য ক্লাসরুম তথা নতুন ভবন নির্মাণ, বেঞ্চ নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করার জন্য এলাকাবাসী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন