মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ

| প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : ফুলবাড়ীতে এক মুক্তিযোদ্ধার স্কুল পড়–য়া কিশোরী কন্যাকে ১১ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। লম্পট ধর্ষক দম্ভ করে ধর্ষিতাকে বাবার বাড়িতে প্রকাশ্যে রেখে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরও গ্রেফতার না করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দায়সারা কথা বলছে। ধর্ষক সুলতান মাহমুদ মন্ডল (২৪) উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের খামারের বাজার সংলগ্ন মৃত শাহআলম মুনসীর ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্বধনীরাম গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মন্তাজ আলীর মেয়ে ফুলবাড়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সুলতান। গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ির পাশের শাহবাজারে ওই কিশোরীকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনে লম্পট সুলতান মাহমুদ। মেয়েটি কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই রুমাল মুখে চাপা দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে প্রথমে পার্শ্ববর্তী উপজেলা নাগেশ্বরী পরে ঢাকায় নিয়ে যায়। এদিকে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারে সুলতান মেয়েটিকে নিয়ে তার মামার বাড়ী কুমিল্লায় চলে গেছে। এরই মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে আবার লম্পট সুলতান মাহমুদ মÐল মেয়েটিকে দীর্ঘ দিন ধর্ষণ শেষে উপজেলার খোচাবাড়ীতে নিয়ে এসে জনৈক বেলালের বাড়ীতে এসে দুই দিন ধর্ষণ চালায়। মেয়েটি সুলতানকে বিয়ের কথা বললে সে তালবাহানা শুরু করে। পরে মেয়ের পরিবারকে থানায় মামলা না করতে ধর্ষক সুলতান মাহমুদ হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবারটি। এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানাই চন্দ্র সেন জানান, আমার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের প্রোলভন দেখিয়ে বখাটে সুলতান মাহমুদ যে কাজটি করেছে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক। ফুলবাড়ী থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন