কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলায় পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে চাকলা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হয়ে কয়েকশ’ বিঘা ধানী জমি ও প্রায় ৪০/৫০টি মৎস্য ঘেরসহ এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২০০০ হাজার মানুষ। কিছু কিছু পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। প্লাবিত এলাকার পরিবারগুলো রান্না-খাওয়ার চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। চাকলা গ্রামের হাফেজ জাহাঙ্গীর ঢালীর বাড়ি হতে শহিদ সরদারের বাড়ি পর্যন্ত ৭ এর ১ পোল্ডারে প্রায় ২০০০ ফুটের মতো পাউবোর বেড়িবাঁধ দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কার না করায় ভাঙন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম রসুল কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে অর্থশ্রমে ও স্বেচ্ছাশ্রমে কয়েক দিন ধরে পাউবোর ওপদা রাস্তাটি মেরামত করতে থাকে। কিন্তু ব্যাপক জোয়ারের পানিবৃদ্ধি, ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল নদীর ¯্রােতের ধারা জোয়ারের সাথে সৃষ্ট তুফানের আঘাতে বেড়িবাঁধ ভাঙতে ভাঙতে কোনো স্থানে ১ ফুট কোনো স্থানে ২ ফুট কোনো স্থানে শুধুমাত্র ওপদা সøাব অবশিষ্ট ছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম রসুলের জোরালো ভ‚মিকায় শত শত স্থানীয় জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে মানব প্রাচীরের ন্যায় বেড়িবাঁধের ওপর অবস্থান করে এবং বেড়িবাঁধের ওপর মাটি দিতে থাকে। বেড়িবাঁধ রক্ষার কাজ করতে থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার দুপুরে জোয়ারে তার আর শেষ রক্ষা হলো না। প্রায় ২০০ ফুটের মতো বেড়িবাঁধ ভেঙে চাকলা গ্রাম প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় অনাহারে-অর্ধাহারে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে দিনাতিপাত করছে। এহেন পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে তথা বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে চাকলার পার্শ্ববর্তী অন্যান্য গ্রামে লোনাপানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়ে মৎস্য ঘের, ধানী জমি, স্কুল, মাদরাসা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মানুষের জান-মালের অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আতঙ্কে পার্শ্ববর্তী স্থানীয়রা নির্ঘুম রাত অতিবাহিত করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন