নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরের সাবরিনা হক মডেল একাডেমির অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম কল্লোলকে আটকের তিন দিন পর পুলিশ তিনটি ককটেল ও দুটি জিহাদী বই রাখার অভিযোগে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে নাটোর থানা পুলিশ শহরের সাবরিনা হক মডেল একাডেমির অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম কল্লোলকে তার নিজ বাড়ি থেকে ঘুম থেকে ডেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটকের তিন পর গতকাল রোববার দুপুরে তিনটি ককটেল ও দুটি জিহাদী বই রাখার অভিযোগে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। নাটোর থানার ওসি মশিউর রহমান বলেছেন, অধ্যক্ষ কল্লোল জামায়াত নেতা। তার বাসায় রাতে গোপন মিটিং করার সময় তাকে ককটেল ও বইসহ আটক করা হয়েছে। তবে তিন দিন পর কেন তাকে কোর্টে পাঠানো হলো সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। এদিকে শনিবার রাতে জেলার নলডাঙ্গা থানা পুলিশ কোনো মামলা না থাকলেও বিএনপি নেতা নুরশাদ মাস্টার ও আশরাফ আলী এবং জামায়াত কর্মী মোমিরুল ইসলামকে আটক করেছে। আটকের তিন দিন পর তিনটি ককটেল ও দুটি জিহাদী বই রাখার অভিযোগে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছে নাটোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক বেলালুজ্জামান ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মীর মো: নূরুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন