শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় পাহারা দিচ্ছে আতঙ্কিত মানুষ

কুড়িকাহুনিয়া-শ্রীপুর বেড়িবাঁধ হুমকিতে

| প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কুড়িকাহুনিয়া-শ্রীপুর বেড়িবাঁধের অবস্থা চরম বিপদাপন্ন। ফলে এলাকার মানুষ চরম আতঙ্ক ও ভোগান্তিতে পড়েছে। কপোতাক্ষ নদের ভয়াবহ তুফান ও জোয়ারের পানির চাপে গত বৃহস্পতিবার রাতে চাকলা গ্রামের অনুমান ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। মুহূর্তের মধ্যে চাকলা গ্রামের বহু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়ে যায়। এদিকে একই সময় প্রতাপনগরের কুড়িকাহুনিয়া-শ্রীপুর লঞ্চঘাটের কাছ থেকে উত্তরদিকে আবুল কাশেম মোড়লের বাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ চেইনমত বেড়িবাঁধের বেশির ভাগ ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে। জোয়ারের পানি উপচে ভিতরে ঢোকার উপক্রম হলে এলাকার শত শত মানুষ যার যা আছে হাতে নিয়ে বাঁধ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। তালপাতা, গাছের ডাল-পালা, কঞ্চি, বাঁশ পুঁতে সেখানে মাটিভর্তি বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার প্রাথমিক চেষ্টা চালানো হয়। তাতে সাময়িকভাবে বাঁধ রক্ষা হলেও কতক্ষণ টিকবে বলা মুশকিল। মূল বেড়িবাঁধের কোথাও অর্ধহাত, কোথাও একদেড় হাত করে অবশিষ্ট রয়েছে। অবিলম্বে বাঁধ রক্ষার জন্য কাজ করা না গেলে বাঁধ টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হতে পারে। তখন এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়ি, হাজার বিঘা জমির ধানক্ষেত, মৎস্য ঘেরসহ সবকিছু প্লাবিত হয়ে যেতে পারে। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন বলেন, এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে কুড়িকাহুনিয়া বাঁধ রক্ষার কাজ করা হচ্ছে, যা সাময়িক। বাঁধের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, যে কোনো সময় পানির ¯্রােত, ঢেউ আর জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা মাথায় নিয়ে দিনরাত পাহারা দেয়া হচ্ছে। সব সময় সতর্কতার সাথে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কাজ করা হচ্ছে। চাকলার বাঁধ রক্ষার জন্য এখনো কিছু করা সম্ভব হয়নি। জোয়ারের পানি সেখানে ওঠানামা করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের আশু সহায়তা দানের জন্য তিনি আহ্বান জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন