মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপ সম্পাদকীয়

প্রতিরক্ষা চুক্তির পরিবর্তে সমঝোতা স্মারক : দিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা

| প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোবায়েদুর রহমান : ৭ এপ্রিল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ইন্ডিয়া যাচ্ছেন। ১০ এপ্রিল সোমবার তিনি দেশে ফিরবেন। বাংলাদেশ এবং বিদেশের প্রায় সমস্ত প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বলছে যে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ পর্যন্ত যতবার ভারত সফরে গেছেন তার মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল সফর। গুরুত্বপূর্ণ সফর কারণ, ভারতের সাথে কম করে হলেও তিনি ৪১টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারকে সই করবেন। কোনো কোনো মিডিয়া বলেছে যে, চুক্তি এবং স্মারকের সংখ্যা ৫১টি হতে পারে। সে যাই হোক, ৫১টি হোক আর ৪১টি হোক এই সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে যে, এই ৪১টি চুক্তি এবং স্মারকের মধ্যে ১টি রয়েছে ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি অথবা স্মারক। ইতোমধ্যেই অনেকে বলছেন যে, এই দফায় প্রতিরক্ষা সম্পর্কে কোনো চুক্তি হচ্ছে না, তবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হচ্ছে। আরেক কারণে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ যে, ৪১টি চুক্তি ও স্মারক স্বাক্ষর করলেও তার মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন নেই। বাংলাদেশ সরকার এ পর্যন্ত তিস্তার ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরবতা অবলম্বন করছিল। তবে আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ২৫ মার্চ শনিবার বলেছেন, তিস্তা চুক্তি এবারে স্বাক্ষরিত না হলেও আগামীতে কোন এক সময় হবে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তিস্তার ওপর কোনো চুক্তি হচ্ছে না সেটি এখন পরিষ্কার। অবশ্য এ ব্যাপারে ভারতীয় মিডিয়া ও একশ্রেণীর ভারতীয় রাজনৈতিক নেতা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এ যাত্রায় তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। হিন্দুস্তান টাইমস, দি টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রভৃতি বিখ্যাত ভারতীয় পত্রিকা অন্তত ১৫ দিন আগে বলেছে যে, এবার তিস্তা চুক্তি হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গত ২৩ মার্চ বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে তিনি ভাল সম্পর্ক চান। শেখ হাসিনার সাথেও তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভাল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের স¦ার্থ রক্ষার ভার জনগণ তার ওপর অর্পণ করেছেন। সুতরাং তিনি আগে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ দেখবেন। তারপর তিনি বাংলাদেশের স্বার্থ দেখবেন। তিনি বলেছেন, স্থল সীমান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশকে সহযোগিতা দান করেছেন। কিন্তু তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তাকে ভেবে দেখতে হবে। তিনি আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাকি তিস্তা চুক্তি সই করতে যাচ্ছেন। অথচ এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তার সাথে কোনো আলোচনা করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এই বক্তব্যই বলে দেয় যে, এ যাত্রায় তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। মমতা ব্যানার্জির এ বক্তব্যের ১ দিন পর ওবায়দুল কাদের বলেন, এই যাত্রায় তিস্তা চুক্তি না হলেও পরে কোনো এক সময় সেই চুক্তি হবে। বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য এই যে, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে কি ঘটতে যাচ্ছে সেটা বাংলাদেশের মানুষ প্রথমে ভারতীয় মিডিয়া এবং ভারতীয় নেতাদের কাছ থেকে শুনতে পান। এর পর বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ ভারতীয়দের কণ্ঠের প্রতিধ্বনি করেন মাত্র।
শেখ হাসিনার এই সফর শুধু গুরুত্বপূর্ণই নয়, বেশ জটিল। কারণ এ সফরের সাথে জড়িত রয়েছে প্রতিরক্ষা সম্পর্কে ১টি চুক্তি অথবা স্মারক। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি। অথচ অন্তত তিন সপ্তাহ আগে ভারতের বড় বড় ৩-৪টি পত্রিকা সব কিছু আগাম বলে দিয়েছে। তারা এই মর্মে রিপোর্ট ছেপেছে যে, এই যাত্রায় প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনো চুক্তি হবে না। তবে একটি গঙট বা সমঝোতা স্মারক স¦াক্ষরিত হবে। তথ্যপ্রযুক্তির এই অগ্রসর যুগে কোনো খবরই চাপা থাকে না। সুতরাং ভারতীয় প্রিন্ট মিডিয়ার এই খবরটি বাংলাদেশের শিক্ষিত সচেতন মানুষ আগেই জেনে গেছেন। এর পর ঢাকার একটি বাংলা দৈনিকের প্রধান সংবাদ হিসাবে খবরটি প্রকাশিত হয়। ঐ খবরেও একই কথারই পুনরাবৃত্তি করা হয় যে, প্রতিরক্ষা সম্পর্কে কোনো চুক্তি হচ্ছে না। তবে সমঝোতা সই হচ্ছে।
\ দুই \
চুক্তি এবং স্মারক নিয়ে কেন এত টানাহিঁচড়া? এটি খুঁজতে গেলে দেখা যাবে যে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণই নয়, বেশ জটিলও বটে। তার এই সফরের ওপর দেশের রাজনৈতিক মহল যেমন তীক্ষè দৃষ্টি রাখছেন তেমনি বিদেশীরাও দেখছে যে, দিল্লিতে এবার কি ঘটে। বিশেষ করে চোখ রাখছে গণচীন। গণচীন দেখতে চাচ্ছে যে, দিল্লিতে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে কোনো সামরিক চুক্তি হয় কিনা। হলে তারা এটিকে ভাল চোখে দেখবে না। সে কারণেই এই সফরকালে শেখ হাসিনা ভারত ও চীনের মধ্যে ব্যালান্স বা ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করছেন। এই কাজটি বলা যত সহজ, করা তত সোজা নয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একশ্রেণীর আওয়ামী ও ভারতপন্থী পত্রিকার মত সেই কাজটি করছেন।
এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বড়ই অস্বস্তিকর। নিউইয়র্কের একটি পত্রিকার একজন কলামিস্ট লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো বলতে গেলে ভারতের সব চাহিদাই পূরণ করেছেন। ভারতের সবচেয়ে বড় যে উপকারটি তিনি করেছেন সেটি হলো ভারতের ভৌগোলিক অখন্ডতা রক্ষা। উত্তর-পূর্ব ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা বিদ্রোহ দমনে তিনি যে সহায়তা দিয়েছেন সেটা আর কেউ দিত কিনা সন্দেহ। তিনি আসামের উলফা নেতাদের ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। ফলে আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমন হয়েছে। একই কথা নাগা, মিজো, মণিপুরী বিদ্রোহীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাদেরও তিনি ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। ফলে ঐ সব প্রদেশে স্বাধীনতা বা বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র তৎপরতা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এত বড় অবদানের পর বাংলাদেশের তিস্তার পানি পাওয়া উচিত ছিল।
এর পর তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতে ইন্ডিয়ান মাল পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সড়ক ও রেল করিডোর বা ট্রানজিট দিয়েছেন। এর ফলে ভারতের এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে মাল পরিবহনে সময় যেমন তিন ভাগের দুই ভাগ কমে যাবে, তেমনি মাল পরিবহনের খরচও চার ভাগের তিন ভাগ কমে যাবে। ৪৭ সালে দেশ ভাগ হওয়ার পর থেকেই ভারত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নিকট থেকে এই সুবিধা চেয়ে আসছিল। পাকিস্তান আমলে তাদের এই সুবিধা দেয়া হয়নি। বাংলাদেশ আমলেও শেখ হাসিনার ২য় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত এই সুবিধা দেয়া হয়নি। ২য় মেয়াদে সেই সেই সুবিধাটি দেয়া হয়েছে। এটার বিনিময়েও ভারত তিস্তার পানি দিতে পারতো। এখানে অবশ্য একটি কথা মনে রাখা দরকার সেটা হলো, তিস্তার পানি প্রাপ্তি কোনো বিনিময় যোগ্য বিষয় নয়। এটি বাংলাদেশের অধিকার। অভিন্ন নদীর পানিতে উজান ভাটি উভয় দেশেরই অধিকার থাকে। বাংলাদেশ ভাটির দেশ। সুতরাং তারও হিস্যা রয়েছে তিস্তার পানির ওপর। কিন্তু কে শোনে কার কথা। দুর্বলের যুক্তি সবলের ক্ষমতার কাছে সব সময় পরাস্ত হয়। তাই বাংলাদেশ আজও তিস্তার পানি পায়নি।
বিদেশীরা লিখেছেন যে, ভারত বিগত ৬০ বছর ধরে তার অঞ্চল বিশেষে মালামাল আনা-নেয়া করার জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুবিধা চেয়ে আসছে। যখন ভারত ভাগ হয় তখন পূর্ববাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানে কোনো সমুদ্র বন্দর ছিল না। সাবেক পাকিস্তান সরকার পূর্ববাংলার ব্যবসা বাণিজ্যের স¦ার্থে মাত্র ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি চায়। ভারত কর্কশ ভাষায় জবাব দিয়েছিল যে, ৬ মাস তো দূরের কথা, ৬ ঘণ্টার জন্যেও পূর্ববাংলাকে কলকাতা বন্দর ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। সেই ভারত এখন বাংলাদেশের দুটি বন্দর অর্থাৎ চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর ব্যবহার করতে চাচ্ছে এবং বাংলাদেশ সরকার ভারতের সেই অনুরোধে সম্মত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের সময় এই দুটি বন্দর ব্যবহারের ওপরেও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। অথচ তার পরেও বাংলাদেশ তিস্তার পানি এ যাত্রায় পাচ্ছে না। সে জন্যই এক মার্কিন কলামিস্ট লিখেছেন যে, ভারত সবই পেয়েছে। এবার বাংলাদেশের প্রতিরক্ষার ওপর হাত বাড়িয়েছে।
\ তিন \
এসব কথা শুধুমাত্র বিদেশী সাংবাদিকরাই বলেন নাই, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামও বলেছেন। তার পত্রিকায় ২৬ মার্চ সংখ্যায় স্বনামে লিখিত নিবন্ধে তিনি বলেছেন, “Hasina has been steadfast in her support of Modi government’s ‘isolate Pakistan’ drive, her government has cracked down hard on Northeastern rebels and Islamist militants, on fake currency rackets and Pakistani agents to address Indian security concerns. She has cleared transit for Indian goods to the Northeast through Bangladesh territory and addressed most of India’s connectivity concerns seen as crucial to success of India’s Look East policy. As Hasina prepares for her Delhi visit, Indian and Bangladeshi officials are trying to finalise a deal to allow Indian use of Chittagong and Mongla ports for accessing the Northeast.”
এর পর তিনি লিখেছেন, “India truly needs to be grateful to Sheikh Hasina for her determined and successful effort to dismantle all the camps of the insurgents from the Northeast that Khaleda Zia’s government had allowed in a mistaken policy to keep “pressure” on India.”
এরপর তিনি লিখেছেন, “She signed a very comprehensive agreement with India in which, in one go, she responded to most of India’s important demands without getting any of Bangladesh’s demands met. Her faith has so far worked only partially in terms of duty free access of Bangladeshi goods in the Indian market.”
এই সুদীর্ঘ ইংরেজি লেখা বাংলা অনুবাদ করে এই নিবন্ধের কলেবর বাড়াতে চাই না। সংক্ষেপে বলা যায় যে, ওপরে আমরা যেসব কথা বলেছি সেসব কথাই মাহফুজ আনাম বলেছেন। তিনি ট্রানজিট বা করিডোরের কথা বলেছেন, সমুদ্র বন্দরের কথা বলেছেন এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহী দমনের কথা বলেছেন। বিনিময়ে কয়েকটি বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ছাড়া বাংলাদেশ আর কিছুই পায়নি।
গণচীনের প্রেসিডেন্ট তার বিগত বাংলাদেশ সফরকালে সরকারি খাতে ২৪ বিলিয়ন এবং বেসরকারি খাতে ১৩ বিলিয়ন, মোট ৩৭ বিলিয়ন অর্থাৎ ৩৭০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। এর বিপরীতে ভারত মাত্র ৫০ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অর্থাৎ ভারতীয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতি চীনা প্রতিশ্রুতির ৭৪ ভাগের এক ভাগ মাত্র। তাও আবার ঐ ৫০ কোটি টাকা দিয়ে ভারত থেকে অস্ত্র কিনতে হবে, বাংলাদেশের সৈন্য বাহিনীকে ভারত প্রশিক্ষণ দেবে এবং সীমান্ত অঞ্চলে যৌথভাবে টহল দেবে। সেই কাজটি যদি হয় তাহলে চীন অবশ্যই নাখোশ হবে এবং চীনা সাহায্যের যে বিশাল প্যাকেজ সেটি স্থগিত হয়ে যেতে পারে।
সুতরাং শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত জটিল। কিভাবে তিনি চীন ও ভারতীয় স্বার্থ ও আগ্রহের মধ্যে সমন্বয় ঘটান সেটি এখন দেখার বিষয়।
Email: journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
আরাফাত ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ৪:৫৫ এএম says : 0
কোনভাবেই ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি করা যাবে না।
Total Reply(0)
হিমেল ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ৫:৩১ এএম says : 0
আশা করি প্রধানমন্ত্রী দেশ বিরোধী কোন চুক্তি করবেন না।
Total Reply(0)
সিরাজুল ইসলাম ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ৫:৩৩ এএম says : 0
সব ক্ষেত্রে ভারসম্য রাখতে গেলে ভারসম্য হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি থাকে।
Total Reply(0)
জান্নাতুল ফেরদাউস ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ৫:৩৪ এএম says : 0
বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের স্বার্থে এই ধরনের চুক্তি থেকে বিরত থাকবেন এটা সকলের কাম্য।
Total Reply(0)
সাব্বির ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ৫:৩৫ এএম says : 0
এই বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য মোবায়েদুর রহমান সাহেবকে এবং দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকাকে অনেক অনেক মোবারকবাদ।
Total Reply(0)
sahed ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ৬:১৫ এএম says : 0
no defence deal with india
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন