নাটোর জেলা সংবাদদাতা : যুবলীগ নেতার হুমকিতে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর শ্রীশ চন্দ্র বিদ্যানিকেতনের ২১ মেধাবী শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা না পেয়ে ফিরে গেছে। সেই সাথে ফেরত দেয়া হয়েছে বৃত্তি প্রদানকারী স্থানীয় এক ব্যক্তির অর্থ। তবে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার দাবি, অসৎ উদ্দেশ্যে এই বৃত্তি প্রদান করতে এসেছিলেন দাতা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নলডাঙ্গার বাসুদেবপুর এলাকার বিত্তশালী বাসিন্দা ঢাকাস্থ ইউএস ওয়ার্ক মিশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার পরিচালক স্বপন রাজ স্থানীয় শ্রীশ চন্দ্র বিদ্যানিকেতনের ২১ মেধাবী শিক্ষার্থীকে এক হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদানের ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী গত সোমবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃত্তির অর্থ প্রদানের জন্য ওই স্কুলে উপস্থিত হন। কিন্তু ওই স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লিটন মোবাইল ফোনে স্বপন রাজকে বৃত্তির অর্থ প্রদান করতে নিষেধ করেন। তিনি বৃত্তির অর্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করেন। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইয়াছিন আলী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঘোষিত ওই বৃত্তির অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জানান। এর কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ইয়াছিন আলী জানান, তার স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি যুবলীগ নেতা তাকে ফোনে অর্থ বিতরণ করতে নিষেধ করেছেন। এদিকে দিনভর বৃত্তির টাকার জন্য অপেক্ষায় থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, তারা বৃত্তির টাকার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করছিল। কিন্তু দুপুরের পর প্রধান শিক্ষক জানালে তাদের খুব মন খারাপ হয়। মনে কষ্ট নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তৌহিদুর রহমান লিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে বৃত্তির অর্থ প্রদানে নিষেধ করার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দাতা স্বপন রাজ এলাকায় একজন বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। লোক দেখানো ও অসৎ উদ্দেশ্যে বৃত্তির এই সামান্য অর্থ বিতরণ করতে চেয়েছিলেন। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে টাকা প্রদানে নিষেধ করেন। এ ব্যাপারে স্বপন রাজ জানান, কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত না হলেও প্রতিহিংসাবশত একজন রাজনৈতিক নেতার এমন আচরণে অবাক হয়েছি। বৃত্তির টাকা বিতরণ করা হলে সভাপতি হিসেবে ওই নেতার সম্মানই বৃদ্ধি পেত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন