রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মুরাদনগরে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে প্রার্থী আটকের নাটক

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : আর মাত্র দশদিন পর অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। গত বছরের ৪ জুন ষষ্ঠ ও শেষধাপে কুমিল্লার মুরাদনগরে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও হাইকোর্টের নির্দেশে সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত থাকে। আগামী ১৬ এপ্রিল ওই ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা যখন প্রচারণার প্রস্তুতি নিয়ে গণসংযোগে নেমেছে তখনই ক্ষমতাসীন দলের প্রতিহিংসার শিকার হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ রানা। যাকে মুরাদনগর থানা পুলিশ নির্বাচনের মুহূর্তে একটি রাজনৈতিক মামলায় আটক করে। স্থানীয় লোকজন বলছেন নির্বাচন থেকে দূরে রাখার হীনউদ্দেশ্যই মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করানো হয়েছে।
কুমিল্লার মুরাদনগরের সদর ইউনিয়নে আগামী ১৬ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মুরাদনগর উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে মাসুদ রানা। এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে মাসুদ রানার। একসময় তিনি সাংবাদিকতায় সত্যনির্ভরতার জায়গাটি নিজের মেধা-মনন দিয়ে গড়ে তুলেছেন। রাজনীতি ও পেশাগত কাজে কখনো প্রতিহিংসা লালন করেননি মাসুদ রানা। অথচ সেই প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়ে জেলে যেতে হয়েছে তাকে। ঘটনাটি গত সোমবার সন্ধ্যায়। ওইদিন বিকেল থেকে মাসুদ রানা এলাকার লোকজনের সাথে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। তারপর মাগরিব নামাজ শেষে বাজারের একটি চা দোকানের সামনে বসে লোকজনের সাথে ভোট নিয়েই কথা বলছিলেন। তার সাথে কয়েকজন কর্মীও ছিল। হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস ওই চা দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুরাদনগর থানার সাব ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর ২/৩জন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে মাসুদ রানাকে মাইক্রোবাসে তুলে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, মাসুদ রানার বিরুদ্ধে একটি মামলার অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ছিল তাই তাকে আটক করা হয়েছে। অথচ মাসুদ রানার সাথে চায়ের দোকানের সামনে বসা ৩-৪জন ছিল, যারা ওই মামলার আসামি। কিন্তু পুলিশ নির্দিষ্ট করে কেবল মাসুদ রানাকেই ওই স্থান থেকে থানায় তুলে নিয়ে আসে। পরদিন বিকেলে তাকে কুমিল্লা কোর্টে পাঠানো হয়।
মুরাদনগর সদরের স্থানীয় লোকজনের অনেকেই জানান, ‘মাসুদ রানাকে গ্রেফতারের বিষয়টি পরিষ্কার মনে হচ্ছে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার অপকৌশল নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের কিছু লোকজন এটি পরিকল্পিতভাবে করিয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ কাজে যাতে সে অংশ নিতে না পারে এবং তার কর্র্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে একধরনের আতঙ্ক তৈরি করার জন্যই এ গ্রেফতার নাটক সাজানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন