আফতাব চৌধুরী : দেশে বর্তমানে সন্ত্রাস এক ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। জীবনের নিরাপত্তা এক নৈরাজ্যময় অবস্থায় উপনীত হয়েছে। প্রতিদিন পত্র-পত্রিকায় ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতি, খুন নিয়মিত খবর হয়ে আসছে। মাঝে দু-একদিন হয়তো এর প্রকোপ কমে কিন্তু পুনরায় এটি আরও ভয়াবহ রূপে আত্মপ্রকাশ করে। জীবনের নিরাপত্তা বা সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারে সন্ত্রাস নির্মূল করাকে প্রধান দায়িত্ব হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সরকার সন্ত্রাসকে উৎসাহিত না করলেও অবস্থার কোনো হেরফের হচ্ছে না, সন্ত্রাস রয়েই যাচ্ছে, বরং প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে দিনে দিনে।
সন্ত্রাস রোধের জন্য সরকার বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে। সেনাবাহিনী নামানোসহ বিজিবি থেকে আরম্ভ করে হেন অ্যাকশন ফোর্স নেই যাকে সরকার কাজে লাগয়নি বা লাগাচ্ছে না। বক রেইড, সড়ক অবরোধ করে তল্লাশি, অপরাধী তালিকা নিয়ে তল্লাশি- কোনটি বাদ যাচ্ছে না। কিন্তু সন্ত্রাস সাময়িক বন্ধ হলেও সম্পূর্ণ বন্ধ হচ্ছে না। সাময়িক বন্ধ থাকাটাকে আবার কেউ কেউ ঝড়ের পূর্বাভাসও মনে করছে। এত কিছুর পরও এবং সন্ত্রাস নির্মূলে সরকারের যথেষ্ট সদিচ্ছা থাকা সত্তে¡ও কেন সন্ত্রাস বন্ধ হচ্ছে না, এটি আজ সর্বত্র বড় প্রশ্ন। তাহলে কি মনে করতে হবে, সন্ত্রাসের কারণ আরও গভীরে প্রোথিত? এটা ঠিক, এ অবস্থা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। বিগত কয়েক বছরে এটি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ডালপালা নিয়ে সমাজের অতি গভীর শেকড়ে গেড়ে বসেছে। তাই এত সহজে ও অল্প সময়ে এটিকে নির্মূল করা যাচ্ছে না। শুধু পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে এ কঠিন কাজ করা অসম্ভব। সন্ত্রাস নির্মূলে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।
সন্ত্রাস দমনে সরকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কারো মধ্যে আমরা আন্তরিকতার বা যোগ্যতার অভাব দেখি না। হতে পারে, কিছু সংখ্যক পুলিশের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব। কিন্তু এদের সংখ্যা এত নগণ্য যে, সন্ত্রাস দমনে খুব একটা বাধা হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া যত দিন যাবে এসব কর্মকর্তা নিজেদের ভবিষ্যৎ পদোন্নতির খাতিরে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে বাধ্য হবে। তাহলে সন্ত্রাস দমন হচ্ছে না কেন? সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, সমস্যার গভীরে গিয়ে আর্থ-সামাজিক সমস্যার সমাধান করতে না পারলে সন্ত্রাস এত সহজে দমন করা যাবে না। সমাজ বা জনজীবন থেকে সন্ত্রাস নামক এই ব্যাধি দূর করতে কয়েকটি স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাব বিবেচনা করা যেতে পারে।
স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা বলতে কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে উল্লেখ করা যেতে পারে। সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করা প্রয়োজন। পদক্ষেপগুলো হলো-
১। বড় শহরগুলোকে কতগুলো বøকে বিভক্ত করে এক একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ কর্মকর্তার অধীনে ন্যস্ত করা। তারা নির্ধারিত ব্লকের যুবক, ছাত্র-জনতার জীবনবৃত্তান্ত, পেশা, স্বভাব ইত্যাদি গ্রহণ করবেন এবং পূর্ব রেকর্ড মন্দ হলে তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখবেন, কাদের সঙ্গে উঠাবসা করছে এগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখবেন। ২। বøকের সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা যুবকদের বাড়ি তাৎক্ষণিক ঘেরাও করে তল্লাশি চালাবেন এবং প্রয়োজনবোধে তাদের আটক করবেন। এই প্রক্রিয়া কোনো বাধাধরা সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। অপরাধীদের বুঝতে দিতে হবে সাময়িক গা-ঢাকা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। এই অপরাধ জগৎ থেকে বেরিয়ে আসা ছাড়া তাদের কোনো গত্যন্তর নেই। ৩। সরকার বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরিতে নিয়োগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য এটি একটি উপযুক্ত ব্যবস্থা সন্দেহ নেই। কিন্তু এর ফলে দেশে বেকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বেকারত্বের অভিশাপ গরিব অসহায় পরিবারের জন্য মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করেছে। ফলে কোনো কোনো সচ্চরিত্রের অধিকারী যুবকও জীবিকার তাগিদে অসৎ পথে পা বাড়ায়। পরিবারের আর্থিক সংকট দেখে বেকার যুবক আর স্থির থাকতে পারে না, তাই জোরজবরদস্তিমূলক অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নেয়। পেশাদার দাগী সন্ত্রাসীরা বেকারদের লোভ দেখায় এবং অসৎ পথে পা বাড়াতে প্রলুব্ধ করে। তাই অবিলম্বে নতুন চাকরিতে নিয়োগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে যুবকদের চাকরির সুযোগ করে দিতে হবে। ৪। যুবকদের ছোট ছোট ব্যাংক ঋণ দিয়ে ছোট ছোট শিল্প-কারখানা, নার্সারি গড়ে তোলার ব্যাপারে আগ্রহী করা যেতে পারে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। কেউ করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
উপরে বর্ণিত পদক্ষেপসমূহ অবিলম্বে কার্যকরী করা প্রয়োজন এবং তা সম্ভবও। কিন্তু এগুলোর সাথে সামাজিক কিছু গর্হিত কার্যাবলী দূরীভূত করা প্রয়োজন, অন্যথায় স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপে প্রাপ্ত সুফল ধরে রাখা দুষ্কর হবে। তাই দীর্ঘমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এগুলো হলো : ১। সর্বোচ্চ থেকে সর্ব নিম্নস্তর পর্যন্ত জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করা। জবাবদিহিতার কথাটি সরকারি কর্তাব্যক্তিদের মুখে শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী মহোদয়গণ তো সারাক্ষণ এই কথাগুলো বলছেন, কিন্তু কতটুকু কার্যকর হচ্ছে তা কি তলিয়ে দেখেছেন? কোনো মন্ত্রী বা আমলাকে সরকারপ্রধান কোন দায়িত্ব দিলেন, সেই দায়িত্ব পালনে মন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যদি ব্যর্থ হন তাহলে তাকে আর সে জন্য কোনো কৈফিয়ৎ দিতে হয় না। যদি দিতে হতো তাহলে তিনি ওই কাজের সফলতার বিষয়ে আরও যতœবান হতেন। তাছাড়া একজন ছাত্র কেন ক্লাসে অনুপস্থিত তার জন্য যেমন কোনো জবাবদিহিতা নেই তেমনি একজন শিক্ষক ক্লাস না নিলে তার জন্যও তাকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। এই প্রক্রিয়া সমাজের মধ্যে কাজে ফাঁকি এবং বিনা পরিশ্রমে রুজি-রোজগারের প্রবণতা সৃষ্টি করছে।
ব্রিটিশ আমলে এবং প্রথমদিকে পাকিস্তান আমলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকলে তা ধরাধরি হতো এবং এ জন্য দস্তুরমতো জবাবদিহি করতে হতো। কিন্তু পাকিস্তান আমলে মার্শাল ল’র পর থেকে এবং বাংলাদেশে কোনো সময় এ ব্যাপারে কোনো ধরাধরি হয়নি। ফলে এটি চরিত্রবান পরিবার এবং চরিত্রহীন পরিবারের মধ্যে কৃত্রিম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করছে, পরিণামে চরিত্রবান পরিবারটি পার্শ্ববর্তী পরিবারের সক্ষম হওয়ার জন্য অসৎ উপায় অবলম্বন করছে। এই অসম প্রতিযোগিতাও যুবকদের সন্ত্রাসী পথে অগ্রসর হতে বাধ্য করছে। একজন বেকার যুবক বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া কোনো ছাত্রের হাতে মোবাইল টেলিফোন দেখে জিজ্ঞাসা করার কেউ নেই, সে এই মোবাইল কেনার টাকা কোথায় পেল? সদ্য কেনা মোটরসাইকেল দেখে জিজ্ঞাসা করার কেউ নেই এটা কার টাকায় কেনা। সামান্য বেতনের আয় দিয়ে বিশাল অট্টালিকা নির্মাণ করলে জিজ্ঞাসা করার কেউ নেই এ টাকা কোথায় পেল? মোবাইল বা মোটরসাইকেল কেনার দ্বারা আমি এটা বোঝাতে চাই না যে, মোটরসাইকেল বা মোবাইল কেনা বা অট্টালিকা নির্মাণের সঙ্গতি কারো নেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অন্যায় পথে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে এসব কেনা হচ্ছে। বিগত আমলে সরকার বিশাল অংকের কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দিয়েছে এর মালিকদের। বর্তমান সরকারও কিন্তু তার পুনরাবৃত্তি করছে। তাহলে অবৈধ পথ রোধের উপায় কি! অতএব আয়ের তুলনায় অধিক ব্যয় করতে দেখলেই জিজ্ঞাসিত হওয়া উচিত।
২। নৈতিক শিক্ষার প্রভাব ঘটাতে হবে। মানুষ খুন করা বা ছিনতাই করা, সন্ত্রাস করা, অনৈতিক ও গর্হিত কাজ- এই শিক্ষা আমাদের যুব সমাজ কদাচ পেয়ে থাকে। এক ব্যক্তির হাতে একটি গুলিভর্তি পিস্তল আছে, আর তার পাশে এক নিরীহ ব্যক্তির হাতে লক্ষ টাকা আছে। পিস্তলওয়ালা সময় সুযোগ পেয়েও লক্ষ টাকা যদি ছিনতাই না করে তাহলে বুঝতে হবে সে নৈতিকতা বোধের জন্যই টাকাটা ছিনতাই করল না, যা আজকাল প্রায় বিরল ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই নৈতিক শিক্ষার জন্য কোনো ব্যবস্থা স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে কি? নেই।
৩. ধর্মীয় শিক্ষা প্রবর্তন করতে হবে। সমাজ আজ নীতি-নৈতিকতাহীন, বস্তুতান্ত্রিক সফলতার চিন্তায় বিভোর। মানুষ বলগাহীন দুর্নীতি, হত্যা, পাপাচার এবং দূরাচারে লিপ্ত। এর প্রতিরোধে যুব সমাজকে ধর্মীয় শিক্ষার জ্ঞানে শিক্ষিত এবং তাদের সুষ্ঠু পথে পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তার রোধে অবিলম্বে শিক্ষানীতির সংস্কার করতে হবে। এছাড়া জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদ বন্ধে এসব কার্যক্রমের উসকানিদাতা এবং অর্থদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রæত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নৈতিক চরিত্রের উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। কারণ ধর্মীয় শিক্ষা না থাকলে মানুষ যে কোনো অনৈতিক কাজ করতে দ্বিধা করবে না। আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তাকে জানতে হবে। পরজীবনে শাস্তির ভয় মনে থাকলে কেউ অনৈতিক কাজ বা সন্ত্রাস করতে এগিয়ে আসবে না। একবার এক সাহাবি অন্য এক সাহাবিকে জিজ্ঞাসা করলেন আপনি কাকে বেশি ভয় করেন? ওই সাহাবি জবাবে বললেন, ‘আমি আল্লাহকে তো ভয় করি।’ প্রশ্নকারী সাহাবি বললেন, আল্লাহকে সবাই ভয় করে আমিও তা করি। তারপর কাকে ভয় করেন? দ্বিতীয় সাহাবি বললেন, তারপর আমি তাকে ভয় করি যে আল্লাহকে ভয় করে না। কারণ যদি কেউ আল্লাহকে ভয় করে তাহলে সে সন্ত্রাস কেন কোনো অনৈতিক অপরাধমূলক কাজ করতে পারবে না। তাই সকলেই সে যে কোনো ধর্মের প্রতি বিশ্বাসী হোক ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা নৈতিক চরিত্র গঠনের একমাত্র হাতিয়ার। শুধু শুধু লম্বা লম্বা বক্তৃতা আর একদল অন্য দলকেদোষারোপ করলে আর ন্যায় বিচার না করলে আমি বলব সন্ত্রাস দমন সম্ভব হবে না। তাই ধর্মীয় শিক্ষা প্রবর্তনে সরকারকে কঠোর হতে হবে। দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪। কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে সেগুলোর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে যখন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় তখন তারা প্রবল চাপের মধ্যে থাকে। কিন্তু সেই চাপ থাকে ক্ষণিকের তরে মাত্র। সেই চাপ যদি অবিরাম না চলে তাহলে অপরাধীরা নিঃশ্বাস বন্ধ করে পানিতে ডুব দেয়ার মতো কিছুকাল চুপ থাকে, চাপ বা অবরোধ তুলে নিলে তারা পুনরায় মাথা তুলতে আরম্ভ করে। অতএব, সর্বদা চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
৫। অপরাধীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। একজন অপরাধী জেল থেকে বের হয়ে পুনরায় তার পূর্ব পরিচিত অপরাধীদের সঙ্গে মিলিত হয় এবং নতুন করে সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করে। কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকে তাহলে শতকরা ৯০ জন সন্ত্রাসীই সৎপথে ফিরে আসবে। সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসীরা সমাজের জন্য ত্রাস, কিন্তু সবাই এদের ঘৃণা করে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে মানুষ তটস্থ থাকে। যে সরকার সন্ত্রাস থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতে পারবে, মানুষ পুনরায় নির্ভর চলাফেরা করতে পারবে, সে সরকারকে মানুষ সর্বদা সমর্থন করবে। তাদের শত দোষ-ত্রুটি মানুষ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সরকার সন্ত্রাস নামক এই ব্যাধি থেকে মানুষকে রক্ষা করবে- এটিই আজ সবার কাম্য সবার প্রত্যাশা। আমি লক্ষ্য করেছি, এ কাজে সাধারণ জনগণ সাহায্য করতে প্রস্তুত, যা বিগত কটি সন্ত্রাসী ঘটনাতেই প্রমাণিত হয়েছে।
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন