রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অতিবর্ষণে সুন্দরগঞ্জের গম চাষিরা বিপাকে

| প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : প্রতিদিন ২/৩ বার করে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও ঝির-ঝিরে, কখনও প্রবল বর্ষণ। সাথে থাকছে দমকা হাওয়া। এ অবস্থা গত ৮ দিন থেকে বিরাজ করায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গম চাষিরা পড়েছেন দারুণ বিপাকে। বাম্পার ফলনের লাভ বৈরী আবহাওয়ায় খোয়া যাচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠে গম পেকেছে। কেউ গম কেটে জমিতে রেখেছেন পালা দিয়ে। বাড়িতে কেউ রেখেছেন পালা দিয়ে। অনেকেই এখনও গম কাটতেই পারেননি। গম কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য প্রয়োজন খর রৌদ্র। কিন্তু গত ৮ দিন থেকে ভোরে, সন্ধ্যায়, দুপুরে ও রাতে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে কৃষকরা গম কাটা ও মাড়াই করতে না পারায় পালা করে রাখা গম কালচে রং ধারণসহ পচন ধরেছে। কোথাও কোথাও জমিতে থাকা গমের ডাল ভেঙেছে শিলা বৃষ্টিতে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ করা হয়েছে। প্রদীপ, শতাব্দী, বারী-২৫, ২৬, ২৭ ও সৌরভ জাতের গমের চাষ হয়েছে বেশি। এরমধ্যে এক হাজার ৪০ জন কৃষককে এক বিঘা করে জমি চাষের জন্য বীজ ও সার দেয়া হয়েছে পুনর্বাসন কল্পে। তবে গমের আবাদ উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চরাঞ্চলেই বেশি। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে কাপাসিয়া, হরিপুর, চন্ডিপুর, বেলকা, দহবন্দ ও তারাপুর। খোর্দ্দার চরের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ৩ বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছি। ফলন হয়েছে খুবই ভাল। এরমধ্যে এক বিঘা জমির ফসল বাড়িতে এনে পালা করে রেখেছি। কিন্তু প্রতিদিন বৃষ্টির কারণে মাড়াই করতে পারছি না। এ কারণে গমের রং কালচে হয়েছে। যদি আরও ২/১ দিন এরকম বৃষ্টি হয় তাহলে গম পচে যাবে। জিগাবাড়ী চরের কৃষক আহসান হাবীব জানান ২ বিঘার গম কেটে জমিতেই রেখেছি। বৃষ্টির কারণে গমের ফলনে লাভের পরিবর্তে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। কারণ অনবরত বৃষ্টিতে গম কাটা ও মাড়াই করতে পারছি না। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান অধিক বৃষ্টির কারণে সঠিক সময়ে গম কাটা ও মাড়াই করতে না পারায় কিছু ক্ষতি হতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন