সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

হাজীগঞ্জে ঝড়ো হাওয়ায় ইরি বোরোর ব্যাপক ক্ষতি

| প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কামরুজ্জামান টুটুল, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ঝড়ো হাওয়ায় ইরি-বোরো ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ঝড়ো হাওয়ার কারণে ধান গাছ শুয়ে গেছে আর বৃষ্টির জমা পানিতে শুয়ে থাকা গাছ পানিতে ডুবে গেছে। গত সোমবার সন্ধ্যা ও গভীর রাতের বৃষ্টির সাথে প্রবল বেগের হাওয়ায় এই ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকরা ইনকিলাবকে জানান। বিষয়টি একেবারে প্রকৃতিগত বিষয় উল্লেখপূর্বক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মনি সূত্রধর এ বিষয়ে ধান রক্ষার্থে পরামর্শ দিয়েছেন। সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, এবার উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ইরি-বোরো ধান ব্যাপক আকারে হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চারদিকে সবুজের সমারোহ। ঠিক যে সময় কিছু গাছে ধান এসেছে আর কিছু ধানে দুধ চলে এসেছে আর কিছু গাছে ফুল শেষে ধান সৃষ্টি শুরু হয়েছে ঠিক সেই সময় প্রবলবেগের ঝড়ো হাওয়ায় ধানগাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। সরেজমিন আরো দেখা যায়, পানিতে ডুবে থাকা ফসলসহ ধান গাছ রক্ষার্থে কৃষকক‚ল প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে অনেকে পানি সেচ দিয়ে জমির পানি কমানোর বৃথা চেষ্টা করছে। কেউ গাছকে আঁটি বেঁধে কঞ্চি নিয়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে, কেউবা আবার মনের কষ্টে জমির কাছে যাচ্ছেই না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলিত অর্থবছরে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মনি সূত্রধর ইনকিলাবকে বলেন, বাতাসে পড়ে যাওয়া ধান গাছ রক্ষার্থে প্রথমত জমির পানি সেচ দিয়ে সরিয়ে দিতে হবে। ধানে দুধ এসে পড়লে ২/১ দিন পানিতে থাকলে ওই ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা একবারে কম, তবে ২/১ দিনের মধ্যে অবশ্যই পানি সরিয়ে দিতে হবে। সবচেয়ে ভালো ধান গাছকে মুঠি ধরে উঠিয়ে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেঁধে দেয়া। আর পড়ে যাওয়া ফুলওয়ালা ধান গাছের ক্ষেত্রে কিছু করার নেই। এই সকল পদ্ধতি গ্রহণ না করলে পানিতে পড়ে যাওয়া ধান গাছে শ্যাওলা জমবে আর চিটা হয়ে যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন