বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

রাওধার মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করলেন বাবা

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রী রাওধা আতিফকে হত্যার ঘটনায় তার বান্ধবী সিরাত পারভীন মাহমুদের নামের হত্যার অভিযোগ এনে রাজশাহীর আদালতে হত্যা মামলা করেছেন তার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাওধা আতিফের বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ রাজশাহী মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলামের আদালতে উপস্থিত হয়ে এই মামলা করেন। এই মামলায় তার সহপাঠী বান্ধবীকে আসামি করা হয়।
মামলা শেষে বের হয়ে রাওধা আতিফের বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ সাংবাদিকদের বলেন, এটা নিশ্চিত একটা হত্যাকান্ড। আমরা রাওধা আতিফের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাংলাদেশের রাজশাহীতে আসি। রাওধার গলায় হাতের ছাপ আছে। যা হত্যাকান্ড বলে আমার মনে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আর রাওধাকে যে হত্যা করেছে সে ডান হাতি। এবং তাকে শ্বাসরোধ করেই হত্যা করা হয়েছে। যদি রাওধা আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে কেনো পুলিশ আসার আগে তাকে ঝোলানো অবস্থা থেকে নামানো হলো? আর প্রাথমিক অবস্থায় হাসপাতালের ভেতরের রুম দেখে মনে হয়েছে এটা হত্যাকান্ড। এই মামলার তদন্ত রাজশাহীর পুলিশ ভালো করে করবে বলে আশা রাখি।
রাওধা আতিফের বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফের হত্যা মামলা দয়ের বিষয়ে অ্যাডভোকেট কামরুল মনির সাংবাদিকদের বলেন, রাওধার রুমের ভেতর বা অন্য কিছু দেখে তার পরিবারের লোকজন মনে করছে এটা হত্যাকান্ড। তাই তারা একটি হত্যা মামলা করেন।
গত ২৯ মার্চ ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রাওধার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। এই মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস ১৩তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রাওদা। বিদেশি কোটায় ভর্তির পর গত বছরের ১৪ জানুয়ারি মহিলা হোস্টেলের দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষে উঠেছিলেন রাওদা। ওই বøকে আরও ছয়জন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকেন।
পরে রাওদা আতিফের লাশের ময়নাতদন্ত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সম্পন্ন হয়। এজন্য ফরেনসিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মনসুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে।
এ টিমের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক ও সাবেক অধ্যাপক এমদাদুর রহমান। পরে রাওধ আতিফ আত্মহত্যা করেছেন বলে চিকিৎসকরা প্রতিবেদন দেন।
এ সময় পরিবারের সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ময়নাতদন্তের আগে তার বাবা-মা হাসপাতালের হিমঘরে গিয়ে রওদার লাশ দেখেন। ময়নাতদন্ত শেষে গত এক এপ্রিল দুপুরে রাজশাহীর হেতমখাঁ গোরস্থানে মালদ্বীপের মেয়ে রাওদা আতিফের লাশ দাফন করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন