শনিবার, ২২ জুন ২০২৪, ০৮ আষাঢ় ১৪৩১, ১৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শেখ হাসিনা ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি : রিজভী

প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১০ এএম, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭


তার দ্বি-চারিতা দেশবাসী দেখেছেন
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী নির্বাচনে মুসলিম ভোট হাতে নিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেফাজতে ইসলামের সাথে সখ্য করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ভোটের সময়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পাক্কা মুসলমান হওয়ার চেষ্টা করেন। হিজাব পরছেন, হাতে তসবিহ নিচ্ছেন। আবার নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে তিনি প্রগতিশীল হওয়ার চেষ্টা করেন। আসলে তিনি একজন ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যক্তি। গতকাল রোববার বিকালে দুইটি পৃথক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ভারতের সাথে চুক্তি-টুক্তি করে আসার পরে তিনি (শেখ হাসিনা) দেখেছেন যে, পরিস্থিতি তো ভালো না। এখন মুসলিম ভোট হাতে নেয়ার জন্য নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। যে আহমেদ শফী সাহেবকে এতো বিরক্ত করেছেন, যে আলেম-উলামাকে উনি ব্যঙ্গ করেছেন, বিদ্রæপ করেছেন, তাদের যে সমাবেশ হয়েছিল, সেই সমাবেশে কত লোককে হত্যা করা হয়েছে। এখন আবার তার (হেফাজতে ইসলাম) সাথেই সখ্য করতে চাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। হ্যায়, এমনটি এর আগে আমরা দেখিনি।
আপনার মন্ত্রীরা তেঁতুল হুজুরসহ কতো কী আজে-বাজে মন্তব্য করলেন। এখন আপনি যাচ্ছেন তার সাথে সখ্য করতে। কারণ দেখেছেন যে, এদেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী এই সরকারের সাথে নেই। সামনে নির্বাচন, এই নির্বাচনে তো ভরাডুবি হবে। অতত্রব এখন তিনি কিছুটা ভোটের আশায় ইসলামী আলেম-উলামাদের সাথে দেখা করছেন, কথা-বার্তা বলছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘অপর্ণ বাংলাদেশ’ এবং নয়া পল্টনে মওলানা ভাসানী মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ভাসানটেক শাখার উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।
‘অর্পণ বাংলাদেশ’ এর আলোচনা সভায় রিজভী আওয়ামী লীগ প্রধানের সমালোচনা করে বলেন, ভোট আসলে আপনারা দেখেছেন, উনি হিজাব পরছেন, হাতে তসবিহ নিচ্ছেন, যেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে যাচ্ছেন তখনই উনি নিজেকে প্রগতিশীল দেখানো সৃষ্টি করেন, প্রকৃত অর্থেই তিনি কোনো ধর্ম মানেন না, তিনি একজন ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যক্তি। ভোটের সময়ে তিনি কিন্তু পুরো পাক্কা মুসলমান হওয়ার চেষ্টা করেন। এটা হচ্ছে দ্বি-চারিতা, চূড়ান্ত ভন্ডামী।
দেশের জনগণ এই দ্বি-চারিতা দেখেছেন, আর কিছুতেই মানুষের মন ভেজাতে পারবেন না। কারণ নিজের ক্ষমতা রাখার জন্য যে ধরনের কর্মকান্ড করেছেন, আপনি দেশ বিক্রি করে দেয়ার সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন, এটা পরে দেশের মানুষের কাছে আপনার ন্যুনতম গ্রহণযোগ্যতা নেই।
অর্পণ বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দরিদ্র ও সরকারের নিপীড়ন নির্যাতনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে। ২০১৫ সাল থেকে এই সংগঠনটি এ কাজ করে আসছে বলে আয়োজকরা জানান।
সংগঠনের সভানেত্রী বীথিকা বিনতে হোসাইনের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা মীর সরফত আলী সপু, আব্দুুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ইউপি নির্বাচনে ভোট কারচুপি
নয়া পল্টনে মওলানা ভাসানী মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ভাসানটেক থানা শাখার আয়োজিত কর্মীয় সভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজে ও ১৫৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। আমরা পটুয়াখালী, সিরাজগঞ্জ ও চট্টগ্রামে একের পর এক সেই আগের মতোই ভোট কেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্র দখল করে জোর করে সিল মেরেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। তারপরও কমিশন ভ্রæক্ষেপ করেননি। একইভাবে ১৫৮টি ইউপি নির্বাচন জোর করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নিয়ে গেছে।
আমরা বলেছিলাম, সিইসি আওয়ামী লীগের লোক। উনি কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন না। তার কাছ থেকে আমরা ভালো কিছু পাবো না আমরা, ভোটাররা ভোট দিতে পারবে না। আমরা আজকে ইউপি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভ‚মিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বর্তমান কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় দাবি করে আবারো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির কথা তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা।
নির্বাহী প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিচার বিভাগসহ অন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপরও হস্তক্ষেপ করছেন বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
মহানগর উত্তরের সভানেত্রী পেয়ারা মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক আমেনা খাতুনের পরিচালনায় এতে মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার, উত্তরের রোকেয়া সুলতানা তামান্না, রাবেয়া আলম, বুলবুল নাহার বুলু, খোরশেদা বেগম, সাবেরা বেগম, ভাসানটেক বিএনপির আমির হোসেন আমীর, হাজী লিয়াকত আলী, ফজলুর রহমান ফজলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Munsur ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ৪:২২ এএম says : 0
I think he is right
Total Reply(1)
no name ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ৫:৩৩ এএম says : 4
People don't want to listen old song again and again. Please tell something new. You were in the power. what did you bring from India?
Md. Ismail hossain (Merchandising Manager) ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:১২ এএম says : 0
Thanks Mr. Rizvi, Actually till now we/our family supported Awamileg but now we understanding this party really want power any way. This contact with India really very much dangerous for Bangladesh. Peoples don,t try to understand, Only a party cannot sign this type of contact. This is the matter of hole country. Whatever wait and see, nothing we can do.
Total Reply(0)
Waseem ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:০১ এএম says : 0
I have doubt about your identity. However, you must remember nothing is bigger then Country. Personal interest, party interest must not be considered.
Total Reply(0)
১৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১:৩৪ এএম says : 0
রিজভীকে ধন্যবাদ
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন