রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

একুশ গ্রামের মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

| প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোঃ মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে : বগুড়ার আদমদীঘির চাঁপাপুর-পারশন পারঘাটায় নাগর নদীর উপর একমাত্র বাঁশের তৈরি সাঁকোর উপড় দিয়ে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীসহ একুশ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের গণদাবি থাকা সত্তে¡ও বছরের পর বছর পারহলেও এই স্থানে ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় ভোগক্তভুগীদের। বর্ষা মৌসমে এসব গ্রামের মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে জরুরি ভিত্তিতে এই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাবাসীরা। বগুড়ার নন্দীগ্রাম পারশন, জামালপুর, বনগ্রাম, ইরিহারা বাঁশো গ্রাম ও আদমদীঘির চাঁপাপুর বাজারের দক্ষিণ এলাকার প্রায় একুশটি গ্রামের মানুষের আদমদীঘি ও নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরসহ দেশের অন্যান্য স্থানের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নাগর নদের উপড় চাঁপাপুর পারঘাটা বাঁশের তৈরি সাঁকোটি। স্থানীয় জনতা প্রতি বছরই এই সাঁকো মেরামত করে পারাপারের ব্যবস্থা করেন। এই সাঁকোর উপড় দিয়ে উল্লেখিত গ্রামের স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রী হাটুরিয়াসহ প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। চাঁপাপুর বাজারের মোহম্মাদ আলী জানান, এই পারঘাটায় দীর্ঘদিনের পুরাতন বাঁশের তৈরি সাঁকোটির স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের নিকট দাবি জানিয়ে আসলেও স্বাধীনতার প্রায় ৪৭ বছর পার হলেও এ স্থানে ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। ফলে আদমদীঘি ও নন্দীগ্রাম এই দুই উপজেলার একুশ গ্রামের শত শত মানুষকে জীবনে ঝুকি নিয়ে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। দুর্ভোগও ঝুঁকি নিয়ে তাদের আর কতকাল পার হতেহবে এ প্রশ্ন ভোক্তভুগী সকলের। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখানে ব্রিজ নির্মাণের জন্য আবেদন করা আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন