শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আমতলী পৌর শহরে জেলা পরিষদের বাণিজ্যিক প্লট নিয়ে রমরমা ব্যবসা

বরাদ্দে কোন নীতিমালা নেই

| প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : আমতলী পৌর শহরে জেলা পরিষদের বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দে পরিষদের কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে এক এক ব্যক্তি একাধিক প্লট জবর দখল করে ভাড়া দিয়ে রমরমা ব্যবসা করছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের কালীবাড়ির কালভার্ট থেকে একে স্কুল, ডাক বাংলো, আল-হেলাল মোড় হয়ে সোজা দক্ষিণে হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কটি জেলা পরিষদের আওতাভুক্ত। সড়কটি উভয়পাশ বাণিজ্যিক সমৃদ্ধ এলাকা। ক্রমশ শহরটির গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে যেমন জনসংখ্যার চাপ বাড়ছে অপরদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যিরও প্রসার বাড়ছে। ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ অসংখ্য ব্যবসায়ী আমতলী পৌর শহরে এসে ভিড় জমিয়েছে। কেউবা রেকর্ডীয় জমিতে, কেউবা জমি খরিদ করে, কেউবা সরকারি খাস জমি, জেলা পরিষদের জমি কেউবা ওয়াপদার খাস জমি জবর দখল করে কিংবা বরাদ্দ নিয়ে, কেউবা উল্লেখিতদের কাছ থেকে মোটা অংকের অগ্রীম দিয়ে মাসিক ভাড়া নিয়ে ব্যবসা ফেঁদে বসেছে। জেলা পরিষদের উল্লেখিত সড়কটির উভয় পাশ বাণিজ্যিক সমৃদ্ধ হলেও প্লট বরাদ্দে পরিষদের কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি এবং হচ্ছে না। অনেক অব্যবসায়ী একাধিক প্লট জবরদখল করে নামে বে-নামে ডিসিআর গ্রহণ করেছে। অতঃপর কেউ কেউ ২-৪ লাখ টাকার বিনিময়ে ডিসিআরসহ প্লট বিক্রি করে দিয়েছে। আবার কেউবা ১-২ লাখ টাকা অগ্রীম/জামানত নিয়ে ২-৫ হাজার টাকায় মাসিক ভাড়া দিয়েছে। অনেকে একাধিক প্লট খরিদ/দখল করে রমরমা ভাড়ার ব্যবসা করে যাচ্ছে। এর ফলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা মোটা অংকের অগ্রীম ও ভাড়া দিতে সক্ষম না হওয়ায় ব্যবসা করতে পারছে না। কেউবা দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে পর্যাপ্ত পণ্য তুলতে পারছে না। ফলে কয়েক মাসের মধ্যে মূল ধন খুইয়ে পথে বসেছে। এভাবে নিত্যনতুন ব্যবসায়ী ব্যবসায়ে নামছে এবং কয়েক মাস পর পথে বসছে। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ জেলা পরিষদ যদি তাদের নীতিমালা অনুযায়ী এসব বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ দিত তা হলে অব্যবসায়ীদের প্লট নিয়ে রমরমা ব্যবসা চলত না। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা জেলা পরিষদের প্লট বরাদ্দ পেত। তারা আরো অভিযোগে জানান, জেলা পরিষদের অসাধু সার্ভেয়ার ও প্লট বরাদ্দের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে এক একজন অব্যবসায়ীকে একাধিক প্লট বরাদ্দ দিচ্ছে/অবৈধভাবে দখল বুঝিয়ে দিচ্ছে। সরেজমিন তদন্ত করলে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম, প্লটে বিল্ডিং নির্মাণ কয়েকটি প্লট একত্রিত করে বিশাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, একজনের নামের ডিসিআর অন্যের নামে হালনাগাতকরণ ইত্যাদি দুর্নীতি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন