বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শনির হাওরও এখন সাগর

হাওরকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি

| প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাঁধ মেরামতে দুর্নীতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে -পানি সম্পদমন্ত্রী
বিশেষ সংবাদদাতা : বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলের বাঁধ সংস্কার ও মেরামত কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এ জন্য উচ্চ পর্যায়ের দু’টি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে গত বছর হাওরের বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ায় বিষয়টি স্বীকার করেন পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
এদিকে, শেষ রক্ষা হলো না সুনামগঞ্জের বৃহৎ শনির হাওরের। হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে শনির হাওরে পানি প্রবেশ করা শুরু হয়েছে। প্রবল বেগে হাওরে পানি প্রবেশ করায় হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে। গোটা শনির হাওর যেন এখন সাগরের মতো ঢেউয়ে উত্তাল। গত কয়েকদিন থেকে শনির হাওর পাড়ের কৃষকরা পানির সাথে লড়াই করে হাওরটির বাঁধ ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। যাতে হাওরটির ফসল রক্ষা হয়। কিন্তু তাদের সব পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা মিশে গেল বানের পানির সাথে। এভাবেই তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওর এলাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সুনামগঞ্জে এবার ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছিল। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন। টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। কৃষক শুধু ফসল হারিয়েই সর্বস্বান্ত হয়নি, হাওরের মাছ, হাঁস মরে যাচ্ছে। প্লাবিত হাওর এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহী রোগ। সুপেয় পানির অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। পানির দুর্গন্ধে মানুষ এলাকায় টিকতে পারছে না। অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেই সাথে প্লাবিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকাকে ‘দুর্গত এলাকা’ ঘোষণার দাবি আরও জোরালো হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এসব এলাকাকে দুর্গত ঘোষণা করা হয়নি। এতে করে বিস্তীর্ণ হাওরবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সুনামগঞ্জের অধিবাসী সাবেক সংসদ সদস্য নবাব আলী আব্বাস গতকাল (রোববার) ইনকিলাবকে বলেন, এখানকার মানুষ খুবই অসুবিধার মধ্যে রয়েছে। এই দুর্যোগ কাটিয়ে তুলতে সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে প্লাবিত হাওর এলাকাকে ‘দুর্গত এলাকা’ ঘোষণা করা। তিনি বলেন, হাওর এলাকার যেসব কৃষক ও জেলেরা ঋণ নিয়ে বোরো আবাদ এবং মাছ চাষ করেছিল- তাদের ঋণ মওকুফ করে দেয়া হোক। সেই সাথে নতুন করে করে সুদমুক্ত ঋণ সুবিধা দেয়া হোক হাওর এলাকার কৃষক ও জেলেদের।
অপরদিকে অতিবৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ব্যাপক পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল পানি সম্পদমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়- বাঁধ ভেঙে হাওরের মানুষের দুর্গতির পেছনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান বিপদে এ থেকে শিক্ষা নেওয়া ছাড়া আমাদের করার কিছু নেই। তিনি বলেন, হাওরে বাঁধ ভাঙার পেছনে যে পরিমাণ আর্থিক দুর্নীতির কথা পত্রিকায় লেখা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। তার মতে, বাঁধের ১ থেকে দেড় মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা পাউবো’র নেই। তিনি বলেন, ওই এলাকায় বাঁধের উচ্চতা হচ্ছে ৬ দশমিক ৫ মিটার। কিন্তু পানির উচ্চতা ছিল সাড়ে আট মিটারের মত। পানির এমন চাপ থাকলে অনেক সময় টেকসই বাঁধও টেকে না।
এ পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কী করার আছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ মুহূর্তে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় যেটা করতে পারে, টু লার্ন দা লেসন ফ্রম হোয়াট ইজ হ্যাপেনিং।’ এর বাইরে করার কিছু নাই। তিনি বলেন, হাওর এলাকায় মোট বাঁধের পরিমাণ ১ হাজার ৪৫৭ কিলোমিটার। এই বাঁধ মেরামতে প্রতি বছর ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত পিএসআই-এর মাধ্যমে এসব কাজ হয়ে থাকে। তার মতে, হাওর এলাকায় দু’রকম কাজ চলছে। একটি হচ্ছে-এডিপি অন্তর্ভুক্ত ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প এবং অপরটি বাঁধ সংস্কার ও মেরামত বাবদ ৫৭ কোটি টাকার প্রকল্প।
এ বছর বাঁধ মেরামতের জন্য ৮২০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসব চিহ্নিত জায়গার মধ্যে ধান কাটার পর পানি নামার জন্য এবং নৌকা দিয়ে ধান নেয়ার জন্য স্থানীয় জনগণ ৫২০টি জায়গার বাঁধ কেটে দেয়। কেটে দেয়া এসব জায়গাসহ প্রায় ৪০টি নদীর মুখ বাঁধতে হয়। কিন্তু এবছর পিএসই কিছু কাজ জানুয়ারির শুরুতে দিলেও অনেক কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয় ফেব্রæয়ারিতে এসে। এতে করে সময় মত বাঁধের কাজ শেষ করা যায়নি। এছাড়াও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অতিবৃষ্টি ও আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। একে তিনি জলবায়ুর প্রভাব বলে উল্লেখ করেন।
পানিসম্পদমন্ত্রী আরও বলেন, এ বছর নতুন বাঁধ নির্মাণ ও পুরাতন বাঁধ মেরামত বাবদ প্রায় ২২ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এই বিলের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং কাবিটা’র (কাজের বিনিময়ে টাকা) আওতায় ৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এই বিল পরিশোধে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে কীনা-তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে বাঁধের উচ্চতা বাড়াতে হবে। তবে বাঁধের উচ্চতা এক মিটার বাড়াবো কীনা, আবার এই পরিমান হাইট বাড়ালে পরিবেশগত অসুবিধা কী হতে পারে, সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, ওই এলাকায় বিআর-২৯ ধানের চাষ হয়, যা কেটে ঘরে তুলতে ১৬০ দিন সময় লেগে যায়। সেখানে অন্য প্রজাতির ধান উৎপাদন করা যায় কি-না তাও ভাবতে হবে।  
ভারত থেকে নেমে কয়লা খনির সালফার মিশ্রিত পানি কিম্বা সেখানকার ইউরেনিয়াম খনির বিষাক্ত পানির কারণে হাওর এলাকার মাছ ও হাঁস মরে যাচ্ছে কীনা? এমন প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘একটি সংবাদপত্রে দেখেছি মেঘালয় থেকে আসা পানিতে ইউরেনিয়াম আছে। সেই পানি হাওরের পানিতে মিশে গেছে। তবে এটি সঠিক কিনা তা পারমাণু শক্তি কমিশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও অতিবৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওর এলাকা প্লাবিত হয়। অসময়ের এই পানিতে তলিয়ে যায় হাওর এলাকায় চাষ করা বোরো ধান। এরপর হাওরে মাছ ও হাঁস মরা শুরু হলে দেখা দেয় নতুন বিপদ।
হাওরাঞ্চলের দুর্বল ও অসমাপ্ত বাঁধ ভেঙে প্লাবন ও ফসলহানির পেছনে বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিকে দায়ী করে ঢাকায় মানববন্ধন ও সভা সমাবেশ হয়েছে। সুনামগঞ্জের হাওরে ২৮টি বাঁধ নির্মাণ না করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ার পর ইতোমধ্যে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ২০ বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ২৯ শে মার্চ ওই এলাকা প্লাবিত হওয়ার নজির সেখানে নেই। কিন্তু এ বছর ২৯ শে মার্চ থেকে পহেলা এপ্রিল পর্যন্ত চারদিনে বাঁধের এক থেকে দেড় মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। যার কারণে সেখানে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে।
এদিকে ইনকিলাবের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি আজিজুল ইসলাম চৌধুরী জানান,  শেষ রক্ষা হলো না সুনামগঞ্জের বৃহৎ শনির হাওরের। গত শনিবার দিবাগত রাতে হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে শনির হাওরে পানি প্রবেশ করা শুরু হয়েছে। প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন থেকে শনির হাওর পাড়ের কৃষকরা পানির সাথে লড়াই করে হাওরটির বাঁধ ঠেকিয়ে রেখেছিলেন। হাওরটির বাঁধে তারা দিন রাত কাজ করেন। যাতে হাওরটির ফসল রক্ষা হয়। কিন্তু তাদের সব পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা মিশে গেল বানের পানির সাথে। চোখের সামনে বাঁধ ভেঙ্গে হুহু করে হাওরে পানি প্রবেশ করা শুরু হয়েছে। শনিবার রাত থেকে হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে শনির হাওরে পানি ঢুকতে থাকে।  
শনির হাওর পাড়ের কৃষকরা বাঁধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে তাড়াহুড়ো করে কেউ কেউ কাঁচা ও আধা পাকা ধান কাটছেন। কৃষকরা বলছেন, যেভাবে হাওরে পানি প্রবেশ করছে তাতে মনে হয় না আর ধান কাটার সুযোগ আছে। কারণ,  ২৪ ঘন্টায় সম্পূর্ণ হাওর তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, শনির হাওরে এবার ৮ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমি আবাদ করা হয়েছিল। সবেমাত্র ধান পাকা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বাঁধ ভেঙ্গে ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। শনির হাওর পাড়ের কৃষক মশলঘাট গ্রামের শওকত মিয়া জানান শনিবার রাতেই হাওরে পানি প্রবেশ করা শুরু হয়েছে। হাওর পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে সাদা হয়ে আসছে। তিনি বলেন, এবার আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায় ২০ একর জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। আশা ছিল আগামী কয়েকদিনে ধান কেটে গোলায় তুলতে পারবো। সে প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু সে আশা পূরণ হলো না। বাঁধ ভাঙ্গার খবর পাওয়ার সাথে সাথে যৎসামান্য ধান কেটেছি। পানি সব ডুবিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে বেহলী ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক জানান, আমরা আশায় ছিলাম এবার বোধহয় শনির হাওর টিকে যাবে। সবাই ধান কাটতে পারবে। কিন্তু সে আশা ভঙ্গ হয়ে গেল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জে এবার ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছিল। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন ধান। টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। এবার  ধানে থোড় ধরতে না ধরতেই চৈত্রের অতিবৃষ্টিপাত এবং হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে এক এক করে হাওর ডুবে যায় । সুত্র মতে, এবার পানি উন্নয়ন বোর্ড জেলার ৪২টি হাওরে হাওর রক্ষা বাঁধে কাজ করে। এ কাজ দেয়া হয় পি আই সি (প্রজেক্ট ইমপ্লিমেনটেশন কমিটি)  ও ঠিকাদারকে । পাউবো বরাদ্দ দেয়া হয় ৭৯ কোটি টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ড ৭৬টি ঠিকাদার এবং ২৩৮টি পিআইসিকে মাটির কাজ দেয়। কিন্তু এবার ঠিকাদার ও পিআইসিরা ঠিকমত কাজ করেনি। ঠিকাদার ও পিআইসিরা অসময়ে কাজে হাত দেয়। অভিযোগ রয়েছে কয়েকজন ঠিকাদার বাঁধের কাজে হাতই দেয়নি। বাঁধ নির্মাণ কাজের শুরুতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ আমলে নেয়নি। কারণ তাদের জন্য সবচেয়ে বেশী সুবিধা হচ্ছে এ এলাকায় ঢলের পানি আসলে সব ডুবে যায়। ফলে কোথায় মাটির কাজ হয়েছে কিনা তার কোন প্রমাণ মিলে না। এ জন্যই কিছু দুর্নীতিপরায়ণ প্রতি বছর মাটির কাজ করতে গিয়ে পানির অপেক্ষায় বসে থাকে। যাতে কম কাজে বেশী মুনাফা হয়। জেলার ১১ উপজেলার ৯০ ভাগ ফসল হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেলে সারা জেলায় শুরু হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডেসহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পিআইসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিকাংশ দুর্বল হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ফসল তলিয়ে যায়। হাওর রক্ষা বাঁধে দুর্নীতি ও অনিয়ম খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে দুদক। দুদকের একটি দল কয়েকজন প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা সরজমিন তদন্তে সুনামগঞ্জে অবস্থান করে। ইতোমধ্যে কয়েকটি হাওর পরিদর্শন করেছেন। দুদক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন তাদের তদন্ত চলছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পেলেই ত্বরিত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
তাওহীদ ২৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:৪১ পিএম says : 0
বাঁধ মেরামতে দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।
Total Reply(0)
সিরাজ ২৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:৪৭ পিএম says : 0
সব দাদাদের মেহেরবানী !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
Total Reply(0)
মাহমুদ ২৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:৪৮ পিএম says : 0
কাউয়া আর রয়লার মুরগির কারণে আজ পুরো দেশটাই ডুবতে চলেছে।
Total Reply(0)
S. Anwar ২৪ এপ্রিল, ২০১৭, ৮:৪৭ পিএম says : 0
হায় পোড়া কপাল.!! শনির হাওরের কথা বলে আর কি হবে? গোটা দেশটারেইতো শনি ভর করছে। শনির আছর থেকে কবে ত্রাণ মিলবে একমাত্র আল্লাহ পাক জানে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-প্রকৌশলীরা ছিলেন নিজেদের পকেট উন্নয়নে ব্যস্ত। পানির উন্নয়ন বা অবনয়ন দেখার সময় কোথায় ছিলো তাঁদের? এখন পানি সম্পদ মন্ত্রী বলছেন, যা ঘটছে তার থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে শিক্ষা নিতে। তবে বাধ্য হয়ে বলতে হয়, এই শিক্ষাবিহীন বোর্ডকে কেন রাখা হয়েছিল এতোদিন? শিক্ষা যদি নিতে হয় তবে নিজেদের ঘরে গিয়ে নিন সমস্যা নাই। তবে বোর্ডের বিগত অশিক্ষার খেশারতটা আগে হাওর বাসীদেরকে দিয়ে যান। ঢাকায় বসে বসে যে টাকা গুনেন তাতে হাওর বাসীদের টাকাও আছে। সরকারের কাছে আবেদন রাখছি, দেশ খেকো এসব শনিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন