বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) থেকে : ইতিহাস ঐতিহ্য বহনকারী নোয়াখালী জেলার প্রবেশদ্বার সোনাইমুড়ী। উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র সোনাইমুড়ী বাজার। এ বাণিজ্যিক শহরের প্রধান সড়ক সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত। নোয়াখালী জেলার উত্তরাঞ্চলের মানুষের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হওয়ায় জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে এখানে আসে। এ সড়কটি দিয়ে এক সময় চলাচল করত নোয়াখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূর পাল্লার যানবাহন। পরবর্তীতে বাজারের যানজট দূর করতে সরকার বিকল্প বাইপাস সড়ক নির্মাণ করে। স্থানীয়রা মনে করেন, দূর পাল্লার যান চলাচল না করায় সড়কটির প্রতি দৃষ্টি দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এইদিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভা ঘোষণা হওয়ার পর বাজার তত্ত¡াবধায়নে দায়িত্ব পড়ে পৌরসভার ওপর। বাজারের সার্বিক উন্নয়নের দায়িত্ব গ্রহণ করলেও সড়কটির দায়িত্ব নেয়নি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দক সৃষ্টি হয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় কবলিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। প্রায় সময় গর্তে পড়ে রিকশা উল্টে হতাহত হচ্ছে যাত্রীরা। প্রতিদিন এ সড়কটি দিয়ে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী চলাচল করতে গিয়ে পড়ে চরম ভোগান্তিতে। বাজারটি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র হওয়ায় এখানে গড়ে উঠেছে হাসপাতাল, ব্যাংক-বীমা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ সড়কে চলতে গিয়ে কর্ম ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের। হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের দ্রæত চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। অগ্নিকাÐের ঘটনায় জরুরি ফায়ার সার্ভিস পৌঁছতে না পারায় আগুনে পুড়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। একদিকে সড়কে খানাখন্দক আর অন্যদিকে যানজট থাকায় বাজারের নিত্য পণ্যসামগ্রী বহনকৃত গাড়ি পৌঁছাতে পারছে সময়মতো। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র মোতাহের হোসেন মানিক বলেন, সড়কটি পৌরসভার আওতাধীন নয়। এটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। সড়কটি সম্পর্কে নোয়াখালী জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহেদ হোসেন জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কটির পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন