শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : শ্রীপুরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে শাহীন (৮) নামে এক শিশুকে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘাতক পাপ্পু (১৫)-কে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বেতজুরি গ্রামের খাল থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শহীন স্থানীয় বেতজুরী এলাকার সুলতান উদ্দিন মেমোরিয়াল একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জয়দেবপুর এলাকায়। নিহতের পিতা এমদাদুল হক শ্রীপুর পৌর এলাকার মাস্টারবাড়ি এলাকার মেজর মার্কেটের আলিফ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে চাকরি করেন ও বেতজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার চাঙ্গিরামপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে পাপ্পু গত বুধবার বিকালে শাহীনকে চকলেট দেয়ার কথা বলে তাদের বাসা থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেতজুরি খালের পাড়ে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে খালের পানিতে ফেলে দেয় পাপ্পু। এরপর রাতে বিভিন্ন স্থানে শাহীনের খোঁজ নিতে গিয়ে বাবা জানতে পারেন ছেলে শাহীনকে বুধবার বিকালে পাপ্পুর সঙ্গে যেতে দেখেছে এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পাপ্পুকে আটক করার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খাল থেকে শাহীনের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। ওসি আরও জানান, শাহীনের বাবা এমদাদের সঙ্গে একই ওয়ার্কশপে কাজ করত পাপ্পু। পরে পাপ্পু সেখান থেকে অন্য কারখানায় চাকরি নিয়ে চলে যায়। কিন্তু চলে যাওয়ার সময় ওয়ার্কশপের মালিকের দেয়া দুই মাসের বেতনের টাকা এমদাদ পাপ্পুকে না দেয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরেই শাহীনকে হত্যা করেছে পাপ্পু।
দোকানে ঢুকলো ট্রাক আহত ৭
শ্রীপুরে দোকানের ভিতর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক ঢুকে পড়লে ট্রাকের চাপায় অটোচালক, যাত্রী ও দোকানিসহ সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার এমসি বাজার এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সকাল ৭টার দিকে মাওনা চৌরাস্তাগামী মাটি বহনকারী একটি ড্রাম ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি অটোরিকশা, দুটি সিএনজি ও একটি লেগুনাকে ধাক্কা দিয়ে মহাসড়কের পাশের টং দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে অটোরিকশার চালক রতন মিয়া, আবুল হাশেম, লেগুনা যাত্রী হৃদয় মিয়া, মহাসড়কের পাশে দাঁড়ানো পোশাক শ্রমিক রোকসানা আক্তার, তার শিশুকন্যা মাহবুবা আক্তার, টং দোকানদার গৌরাঙ্গ চন্দ্র বাবু ও কর্মচারী অরুন বাবু আহত হয়। গুরুতর আহত রোকসানা আক্তার ও তার শিশুকন্যা মাহবুবা আক্তারকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘাতক ড্রাম ট্রাক আটক করলেও চালক পলাতক রয়েছেন। পুলিশের ধারণা, চালক ঘুমিয়ে ট্রাক চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন