শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

জমি দখলের প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

| প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কক্সবাজার অফিস : রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা কাইম্যার ঘোনায় প্রভাব খাটিয়ে নিরীহ লোকজনের ভোগদখলীয় জমির দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার শহরের এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ৯নং ওয়ার্ডের চেইন্দা কাইম্যারঘোনা এলাকার ইমাম শরীফ গং ৩১/০৫/১৯৩৬ সালে ক্রয় করে ২ কানি সাড়ে ৬ গন্ডা জমি। এর পাশে খালি ২০ শতক জায়গাটি প্রয়োজনের তাগিদে ১৫/০৩/৬৮ ইংরেজী তারিখে রেজিষ্ট্রি কবলা মূলে আফজল আহমদ থেকে কিনে নেন ইমাম শরীফের পূর্বসূরী গং। সেই সূত্রে সব জমি দখল স্বত্ত¡সহ ভোগ করে আসছিল ইমাম শরীফ গং। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিএস জরিপে ভুলক্রমে আফজলের নামে বি.এস হয়। ওই বিক্রিত জমির আর.এস ৩০৪ নং অদস্থে ৩১০ খতিয়ানে ১০২ ও ১০৩ দাগাদিও বি.এস ২৪৬ নং খতিয়ান এর ১১৮৩ ও ১১৮৫ নং পুনরায় বিক্রির পাঁয়তারা করে আফজল আহমদের উত্তসুরী দক্ষিণ মিঠাছড়ি বিএনপির সভাপতি মোক্তার আহামদ ও তার পুত্র ইউপি সদস্য আবছার কামাল। এতে নিরুপায় ভুক্তভোগীরা সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের কাছে অভিযোগ করেন। এমপি কমলের নির্দেশে রামু থানা পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে ভুক্তভোগীরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টোর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে চেয়ারম্যান ওই জমিতে কাজ না করতে দখলকারী মোক্তার আহামদ ও আবছার কামাল মেম্বারকে নোটিশ দেন। কিন্তু তারপরও জমিতে কাজ অব্যাহত রাখে। গতকালও আদেশ অমান্য করে দখলকারীরা স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে গিয়ে চেয়ারম্যান কাজ বন্ধ করে দেন। সংবাদ সম্মেলনে ইমাম শরীফের ফুফু শবে মেরাজ জানান, দখলকারীরা স্থাপনা নির্মাণ করতে গিয়ে শবে মেরাজের বসত বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে পুলিশ ও চেয়ারম্যানের তাড়া খেয়ে পালিয়ে গেলেও ভুক্তভোগীদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে দখলবাজরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন