কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : কালিগঞ্জে লাগামহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দিবারাত্রি অসংখ্যবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য, সাংবাদিকদের সংবাদ সরবরাহ, ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়াসহ এমনকি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। সরকারের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা নিজেদের পদোন্নতির আশায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় দেখাতে গ্রাহকদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা না করে লাইন সংস্কারের নামে বিদ্যুৎ বিভ্রাট করাতে ব্যতিব্যস্ত থাকে। আকাশে মেঘ দেখা দিলেই শুরু হয় লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা। আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোসহ সামান্য হাওয়া বইতে থাকলে, কালো মেঘের আনাগোনা দেখলে অথবা বৃষ্টি পড়তে থাকলে আকস্মিক বিদ্যুৎ চলে যায়। আর কখন আসবে বলা মুশকিল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া দিবারাত্রি লোডশেডিংয়ের নামে ভেলকিবাজি গ্রাহকদের রীতিমতো হাঁফিয়ে তুলেছে। ভোর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত, দিনের মধ্যে কতবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে বলা মুশকিল। এমনকি গভীর রাতেও বিদ্যুতের লাপাত্তা হতাশাজনক। বিদ্যুতের এহেন অনিশ্চয়তার মধ্যেও মাঝেমধ্যে লোডশেডিংয়ের নতুন কৌশল হিসেবে পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে প্রতিনিয়ত গাছের ডাল কাটার নামে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা বলা হলেও কখনো কখনো সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখার ঘটনা আরও কষ্টকর করে তুলেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রখর রোদের তাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ। গরমজনিত কারণে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ তাদের কাজ মিটাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে দেখা যায়। অফিস, ব্যবসা, কাজের জন্য এসব স্থানে আসা মানুষকে সারা দিন বিদ্যুতের আসায় বসে বসে অতিষ্ঠ হয়ে কাজ না মিটিয়ে অনেক ক্ষেত্রে বাড়িতে ফিরে যেতে দেখা যায়। স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় এনে দ্রæত ব্যবস্থা নেবেন এমনটি প্রত্যাশা উপজেলাবাসীর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন