বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দৃষ্টিনন্দন ময়ূরের পেখম দৃষ্টি কাড়ে দর্শনার্থীদের

শ্রীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক

| প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এম এ মতিন, শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকে : ময়ূরের পেখমের ঝনঝন শব্দে পশুর অভায়রণ্যখ্যাত গাজীপুরের শ্রীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের দর্শনার্থীরা মুখরিত। ময়ূরের পেখম মেলার দৃশ্যই এখন পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজার হাজার দর্শনার্থী ময়ূরের পেখম দেখতে সংরক্ষিত ময়ূর বেষ্টনীতে ভিড় করছেন। রসিক ময়ূরগুলো সে সময় দর্শনার্থীদের আনন্দ বাড়াতে দৃষ্টিনন্দন পেখম তুলছে। একটি ময়ূর পেখম তুললেই তার অনুকরণে অন্যগুলোও পেখম তুলতে থাকে। পেখম তোলার সময় পাখায় চমৎকার ঝনঝন শব্দে বিমোহিত হয় দর্শনার্থীরা। রং আর ঝুটিতে ময়ূরগুলো দেখতে ময়ূরির চেয়ে বেশি সুন্দর। ময়ূর নিজের সৌন্দর্যকে ব্যবহার করে ময়ূরির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অবাক বিষয় হলো পেখম থাকে শুধু ময়ূরের; ময়ূরির থাকে না। আবার আকারের দিক দিয়ে ময়ূর ময়ূরির চেয়ে বড় এবং এবং রং তুলনামূলকভাবে বেশ উজ্জ্বল। আর এই অতিরিক্ত সৌন্দর্যকে ব্যবহার করেই ময়ূর পেখম তুলে ময়ূরিকে আকৃষ্ট করে। ময়ূর ফ্যাজিয়ানিডি প্রজাতির সুন্দর একটি প্রাণী। এশিয়ান অঞ্চলে সাধারণত দুই ধরনের ময়ূরের দেখা পওয়া যায়। এদের রং হয় নীল ও সবুজ। মাঝে মাঝে সাদা রঙের ময়ূরের দেখাও মেলে। এরা সাধারণত বনের ভেতর মাটিতে বাসা বাঁধে। তবে মাঝে মাঝে বনের পাশের লোকালয়েও এদের দেখা মেলে। ময়ূর সর্বভুক প্রাণী। এরা সাধারণত চারা গাছের অংশ, কীটপতঙ্গ, বীজের খোসা, ফুলের পাপড়ি এবং ছোট ছোট সন্ধিপদ প্রাণী খায়। এরা ডিম পাড়ে ও ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। এদের বাচ্চাগুলো মুরগির বাচ্চার মতোই মায়ের সাথে ঘুরে ঘুরে খাবার খায়। বাচ্চাগুলো বিপদ দেখলেই মায়ের ডানার নিচে এসে লুকায়। ময়ূরের ছোট বাচ্চারা মুরগির বাচ্চার মতোই বেড়ে ওঠে। আকারের দিক দিয়ে ময়ূর ৭ ফুট লম্বা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর পেখমের দৈর্ঘ্য তিন ফুট হয়। এদের পেখমে রয়েছে নীল, সবুজ, সোনালিসহ বাহারী রঙের সমাহার। অনেকেই ময়ূরের পেখমের পালক ঘরে সৌন্দর্য হিসেবে ব্যবহার করে। এশিয়ার বৃহৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ৯৬টি ময়ূর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত থেকে আনা হয়। এ পর্যন্ত পার্কে জন্ম নেওয়া ময়ূরের সংখ্যা ১২টি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারী বন সংরক্ষক ও পার্কের তত্ত¡াবধায়ক শাহাবুদ্দিন জানান, অত্যন্ত সচেতনতার সাথে এদের পরিচর্যা করা হয়। প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি এদের বিশেষ যতœ নেওয়ায় দ্রæত বংশ বৃদ্ধি ঘটছে ময়ূরের। বর্ষাকালে পার্কের ময়ূর বেষ্টনীতে দর্শনার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভিড় করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন