স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সরকার জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর সম্পৃক্ততাকরণকে শক্তিশালী অনুঘটক ও বহুমাত্রিক বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে। একই সঙ্গে তাদের সুরক্ষাকল্পে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, পানি ও স্যানিটেশনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জীবনের জন্য জীবন ফাউন্ডেশন আয়োজিত নারী সমাজের উন্নয়ন বিষয়ক এক সেমিনার, টেলিফিল্ম ‘কুয়াশা সকাল’ এর প্রদর্শন ও গুণীজন সম্মাননা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিচারপতির সৈয়দ আবু কাওসার মো. দবিরুস্বান-এর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন মানবাধিকার সংগঠক ড. মো. শাহজাহান, কবি রেজা উদ্দিন স্টালিন ও সংগঠনের সভাপতি শাহ আলম চুন্নু। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তরুণ গবেষক গোবিন্দ লাল সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে প্রগতিশীল ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণসহ সার্বিক উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের মূল স্রোতধারায় নারী সমাজকে সম্পৃক্ত করতে সরকার এক মিশন নিয়ে কাজ করছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থ-বছরে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র ১০ লাখ মহিলাকে মাসে ৩০ কেজি চাল প্রদান করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পরে প্রতিমন্ত্রী সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা ২৫ জন গুণী মানুষের হাতে সম্মাননা পদক ও সনদপত্র তুলে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন