বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রাজাপুরে অন্তঃসত্ত¡া প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে নির্যাতনে সন্তান প্রসব

| প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজাপুর (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা : ঝালকাঠির রাজাপুরের পালট গ্রামে শ^শুরবাড়ির লোকজনের মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতনে সিমা বেগম (৩০) নামে অন্তঃসত্ত¡া শারীরিক প্রতিবন্ধী গৃহবধূর ৬ মাসের সন্তান প্রসব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই প্রতিবন্ধী গৃহবধূ রাজাপুরের সোহাগ ক্লিনিকে ডাক্তারী পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য গেলে এ সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই প্রতিবন্ধী গৃহবধূ ও নবজাতককে মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, মা ও নবজাতক উভয়ই জীবন-মৃত্যুর সংকটাপন্ন। প্রতিবন্ধী গৃহবধূ সীমা বেগমের ভাই শফিকুল ইসলাম পলাশ অভিযোগ করে জানান, গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে সীমার শ^শুর রহমান, শাশুড়ি ফিরোজা বেগম ও দেবর কাসেম, আবুল ও জসিম মাহমুদার প্রতিবেশী আঃ খালেক সিকদারের মেয়ে বিদেশ ফেরত মাহমুদা বেগমের বসতগৃহে গিয়ে মারধর করে গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে এ ঘটনা সীমা মিমাংসার জন্য শ^শুরবাড়ির লোকজনকে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুর রহমান বটি দিয়ে কুপিয়ে ডান হাত জখম করে। এরপর শাশুড়ি ফিরোজা বেগম ধাক্কা দিয়ে ঘরের মেঝে ফেলে দিয়ে পড়নের পোষাক টেনে হেচড়ে ছিড়ে ফেলে এবং পঙ্গু পায়ের পাতা ধরে টেনে হেছড়ে ঘরের বাহিরে বের করে ফেলে দেয়। এমতাবস্থায় দেবর কাসেম, আবুল হোসেন ও জসিম রান্নার জন্য রাখা স্বমিল থেকে আনা কাঠ দিয়ে অমানুষিকভাবে এলোপাথারি পিটিয়ে ও লাথি মেরে অন্তঃসত্ত¡া প্রতিবন্ধী সীমা পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৫০/৬০ জায়গায় ফুলা জখম করে। পরে সিমা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে বলেন কিন্তু অর্থাভাবে ওই দিন সীমার চিকিৎসা হয়নি পরে সীমার বাবার পরিবারের সহয়োগীতায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্মরত চিকিৎসক সীমার শারীরিক অবস্থার ও পেটের সন্তানের অবস্থা নিরুপনের জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে বললে সীমা রাজাপুর সোহাগ ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফির জন্য গেলে সেখানে অন্তঃসত্ত¡া সীমা সন্তান প্রসব করে। রাজাপুর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, পালটের স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাদাৎ হোসেন কাজল বিষয়টি জানিয়েছেন, তবে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন