নাজিরপুর (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : নাজিরপুরে দারিদ্র্যতার সাথে সংগ্রাম করে হেরে গেলেন গৃহবধূ সুষমা সিকদার। দু’সন্তানের মধ্যে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিতে গিয়ে সৃষ্ট ঋণের বোঝা দিন-দিন ভারী হতে থাকলে সুখের সংসারে চরম অভাব বাসা বাধতে শুরু করে। এ অভাবকে চিরতরে মুক্তি দিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সুষমা সিকদার (৩৫)। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা দেউলবাড়ী দোবরা ইউনিয়নের গাওখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুষমা ওই গ্রামের হতদরিদ্র দিন মজুর বিমল সিকদারের স্ত্রী। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। জানা গেছে, উপজেলার গাওখালী গ্রামের হতদরিদ্র দিন মজুর বিমল সিকদার গত বৃহস্পতিবার দিনমজুরের কাজ করে দুপুরের খাবার খেতে বাড়ীতে আসেন। বাড়ীতে এসে জানতে পারে ঘরে চাল না থাকায় রান্না করতে পারেনি তার স্ত্রী। তখন একমাত্র মেয়ের বিয়ের সময় বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণের ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ ও পারিবারিক অভাব অনটন নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বিমল সিকদার দুপুরের খাবার না খেয়েই পুনরায় কাজে চলে যায়। বিকেল অনুমান সাড়ে ৪টার দিকে সুসমা তার তৃতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া একমাত্র ছেলেকে পাশের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে বসতঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, প্রায় দুই বছর আগে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেয় হতদরিদ্র দিন মজুর বিমল সিকদার। এখনও সে ঋণের ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ হয়নি। অভাব অনটনের কারণেই আত্মহত্যা করে সুষমা। এ বিষয়ে বৈঠাকাটা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই অনুপ কুমার মন্ডল জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভাব অনটনের কারণেই আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন