সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে কিশোরী উদ্ধার

| প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পনের বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। সে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার বানির চর এলাকার দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। কিশোরী জানায়, তার বাবা খুলনা শহরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে তাদের নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত। একই এলাকায় ভাড়া থাকত জোসনা ওরফে শিখা নামে এক তরুনী। পাশাপাশি ভাড়া থাকায় শিখা তাদের বাসায় আসা-যাওয়ার করত। এক পর্যায়ে শিখা তার সাথে ধর্ম বোনের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ২ মার্চ শিখা তার বোনের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে তাকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে আসে। এরপর যৌনপল্লীর বাড়িওয়ালী বিউটি (২৭) ও তার স্বামী দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোহরাব মন্ডলের পাড়া গ্রামের কুদ্দুস মন্ডলের (৪০) কাছে তাকে বিক্রি করে দিয়ে শিখা পালিয়ে যায়। এরপর থেকে ১৫ দিনের মত বিউটি ও কুদ্দুস মন্ডল তাকে শারীরিক নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় লিপ্ত করে। দেড় মাস পূর্বে বিউটি ও কুদ্দুস তাকে আলেয়া বাড়িওয়ালীর কাছে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেয়। এদিকে ওই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার দরিদ্র পিতা-মাতা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে শুক্রবার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ভেতরে তাদের মেয়েকে আটকে রাখা হয়েছে বলে তার নিশ্চিত হয়। এরপর গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের সহায়তায় পল্লীর আলেয়া বাড়িওয়ালীর বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে আটকাবস্থায় উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়িওয়ালী আলেয়া পালিয়ে যায়। উদ্ধার হয়ে ওই কিশোরী নিজে বাদি হয়ে অভিযুক্ত চারজনকে আসামী করে রাতেই একটি মামলা দায়ের করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন