ফেনী জেলা সংবাদদাতা
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ছয় ইউপির নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। গত বুধবার এক আদেশে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. সামছুল আলম ফুলগাজী উপজেলার সদর, মুন্সিরহাট, দরবারপুর, আনন্দপুর, জিএম হাট এবং আমজাদহাট ইউপির নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। গত ১ মার্চ মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে বিএনপি সমর্থিত জিএম হাট ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম বাচ্চুকে ব্যাপক মারধর করে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়। এসময় আনন্দপুর ইউপি’র আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ফখরুল আলমকে মারধরের পর অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হানিফ রাসেল বাবু ও আবুল হাসেম নামে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির সম্ভাব্য দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আ.লীগ সমর্থিতরা রিটার্নিং অফিস কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে অফিস সহকারী আবুল বাশারকে মারধর করে। এসময় তারা রিটার্নিং অফিসার শেখ ফরিদকে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া অন্য কারো কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন ফেনী জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত এড. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মিস্টার। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করা হয়। আগামী ৩১ মার্চ ২য় ধাপে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ফুলগাজীর মত পরশুরামেও আ.লীগ প্রাথীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার জন্য বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে বিএনপি, জাপা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে ২ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেনি। ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পিকেএম এনামুল করিম বলেন, নির্বাচন বাতিলের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এছাড়া গত মঙ্গলবার ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন। এ দুই উপজেলার বিএনপি, জাপা এবং স্বতন্ত্র পদে নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীরা বর্তমান তফসিল বাতিল করে সকলকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সুযোগ দিয়ে পুণরায় তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানান নির্বাচন কমিশনারের কাছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন