গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাল্যবিয়েতে বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত কলেজছাত্র জহুরুল ইসলাম মিন্টু (২৫) গতকাল শুক্রবার ভোরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। জহুরুলের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের বন গ্রামের (কারিগর পাড়া) মৃত কপিল উদ্দিনের ছেলে গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ¯œাতক শ্রেণির ছাত্র জহুরুল ইসলাম মিন্টু (২৫) গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়ারহাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে নাজিম উদ্দিন হাজির বাড়ির পার্শ্বে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতে জহুরুলের ওপর হামলা চালায় এবং জহুরুলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। এসময় জহুরুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত জহুরুলকে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ ও পরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার ভোরে জহুরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। জহুরুলের মৃত্যুর খবরে পরিবারে আহাজারি শুরু হয়। সকাল থেকে শত শত মানুষ জহুরুলের বাড়ীতে ভিড় জমায় এবং গ্রামবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। জহুরুলের বড় ভাই বাবু মিয়া জানায়, কিছুদিন আগে একই গ্রামের আশরাফুলের মেয়ের বাল্যবিয়েতে বাধা দেয়ায় সবুজ, লিটনের নেতৃত্বে ৬/৭ জন সন্ত্রাসী গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ভাই জহুরুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত জহুরুলকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে সে মারা যায়। গতকাল শুক্রবার সকালে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং জহুরুলের ভাই, আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন