সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

লাইনম্যানদের বাবুগিরি ১১ হাজার ভোল্টের তারে জড়িয়ে ঝলসে গেল শাহিন

| প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা :ঝিনাইদহ ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন (ওজোপাডিকো) অফিসে সরকার নিয়োজিত বেতনভুক্ত কোন লাইনম্যান কাজ করেন না। লাইনম্যানের কাজ সারা হয় অদক্ষ ব্যক্তিদের (গ্যাটিজ) দিয়ে। এমন একটি ঝুঁকিপুর্ণ কাজ করতে গিয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে শাহিন মোল্লা নামে এক যুবক। বিষয়খালী এলাকায় ট্রান্সফরমারের নেগেটিভ বুস লাগাতে গিয়ে ঝলসে যায় শানের শরীর। তিনি এখন মৃত্যু পথযাত্রী। এ দুর্ঘটনার দায়ভার নিতে রাজি নয় ঝিনাইদহ ওজোপাডিকো। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ঝলসে যাওয়া শরীর নিয়ে শাহিন কাতরাচ্ছে। শাহীন জানান, গত ৩ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর লাইনম্যান মজিবর ও পরিতোষ গ্যাটিজ শাহীনকে বলেন, বিষয়খালী বোর্ড ঘরের সামনে ট্রান্সফরমারের নেগেটিভ বুস কেটে গেছে লাগাতে হবে। লাইনম্যান মজিবর ও পরিতোষ নিজের কাজ নিজে না করে গ্যাটিজ শাহীনকে তুলে দেন ১১ হাজার ভোল্টের ট্রান্সফরমারের নেগেটিভ বুসের তার লাগাতে। ট্রান্সফরমারের নেগেটিভ বুসের কাজ করা অবস্থায় ঝিনাইদহ শহরের হামদহের সাবষ্টেশনের এসবিএ হাফিজ হঠাৎ করে লাইনের সুইজ অন করে দিলে শাহীন ১১ হাজার ভোল্টের তারে জড়িয়ে ঝুলতে থাকে। এমতবস্থায় খাম্বায় লাগানো বাঁশের মই দিয়ে নিচ থেকে মজিবর ও পরিতোষ ধাক্কা মেরে শাহীনকে মাটিতে ফেলে দেয়। শাহীনের হাত, পা, উরু, বুকের পাশে চামড়াসহ মাংশ উঠে যায়। পরে লাইনম্যান মজিবর ও পরিতোষ শাহীনকে উদ্ধার করে পিকাপে তুলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার রাশেদ আল মামুন তাকে চিকিৎসা দেন। শাহিনের অবস্থার অবনতী হলে ৪ এপ্রিল তাকে ঢাকার বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়। শাহীনের বোন রানু বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ঝিনাইদহ বিদ্যুত অফিসের(ওজোপাডিকো) লাইনম্যানেরা নিজের কাজ নিজে না করে গ্যাটিজ দিয়ে জটিল কাজগুলো করানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর কালে চিকিসার ব্যায় ভার দাবি করেন। এ ব্যাপারে লাইনম্যান মজিবর ফোন রিসিভ করেননি। তবে পরিতোষ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, আমি কিচ্ছুই জানিনা। শাহীনের সার্কেলের ইঞ্জিনিয়ার নির্মল বাবু সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন এ সংবাদটি প্রকাশ না করতে। অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর প্রকৃত লাইনম্যানরা বাবু সেজে বসে থাকেন। আর কাজ করান বাইরের রেঅকজন দিয়ে। ফলে এ পর্যন্ত বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় লেবুতলার মজনু মারা গেছে। সারা জীবনের মত পঙ্গু হয়ে গেছে খাজুরা গ্রামের মির্জা, পবহাটির খলিল ও আরাপপুরের খোরশেদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন