সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

স্বাদু পানিতে গলদা চিংড়ি চাষে সাফল্য

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : দক্ষিণাঞ্চলের লোনা পানিতে বেড়ে ওঠা সাদা সোনা বা গলদা চিংড়ি এখন পরীক্ষামূলকভাবে কুড়িগ্রামের স্বাদু পানিতে চাষ উপযোগী করে সাফল্য অর্জন করেছে কুড়িগ্রাম সরকারি মৎস খামার। চিংড়িচাষ সম্প্রসারণ প্রকল্প-২য় পর্যায়ের আওতায় এই সফলতা দেখালেন খামার ব্যবস্থাপক মুসা কালিমুল্লা। গত সোমবার দুপুরে মৎস চাষীদের কাছে পোনা (ডিভাইন) বিতরণ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, মৎস খামার ব্যবস্থাপক মুসা কালিমুল্লা, কুড়িগ্রাম সদরের সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উলিপুরের মৎস কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, টেকনিশিয়ান দেলোয়ার হোসেন দিলু, প্রেসক্লাবের সভাপতি মমিনুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ। এসময় পীরগাছার মৎসচাষী আব্দুল মামুনকে ৩৫ কেজি ও রাজারহাটের চাষী রিপনকে ১০ কেজি পোনা হস্তান্তর করা হয়। খামার ব্যবস্থাপক মুসা কালিমুল্লা জানান, ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সদর উপজেলা মৎস বীজ উৎপাদন খামারে স্বাদু (মিঠা) পানিতে গলদা চিংড়ি চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্য দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালি জেলার দুমকি এলাকা থেকে পায়ড়া নদীর মা গলদা চিংড়ি সংগ্রহ করা হয়। কক্সবাজার থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ট্রাকে করে লোনা পানি ( ব্রাইন ওয়াটার) নিয়ে চিংড়ি হ্যাচারীতে হ্যাচিং শুরু করা হয়। গত আড়াই বছর ধরে নিবিড়ভাবে গবেষণার পর হ্যাচারীতে ৩৫দিন বয়সী ৪ থেকে ৫ লক্ষ রেনু বা পোস্ট লার্ভা জীবিত পাওয়া যায়। চলতি বছর নিজস্ব খামারে গলদা চিংড়ি চাষ করে আসে সফলতা। এবার রেনু ও পোনা সরবরাহ করে জেলার ৯ উপজেলার স্বাদু পানিতে গলদা চিংড়ি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা মৎস বিভাগ। প্রাথমিকভাবে ৯টন গলদা চিংড়ি চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলা মৎস কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, স্বাদু পানি উপযোগী গলদা চিংড়ি চাষে সফলতা আসায় জেলাকে গলদা চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানীকারী জেলা হিসেবে পরিচিতি করতে অগ্রগামী মাছচাষীদের আরো এগিয়ে আসতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন