বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান

মুসলিম হিসাবে অধিকহারে আল কুদস সফর করা উচিত : এরদোগান

| প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে পুরোপুরি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ফিলিস্তিনি সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। স¤প্রতি ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আল কুদস ওয়াকফ আন্তর্জাতিক ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে আরো অধিক সংখ্যক মুসলিমদের জেরুজালেম সফরের জন্য আহŸান জানিয়ে এরদোগান বলেন, মুসলিম হিসাবে আমাদের বেশি বেশি করে আল কুদস সফরে যাওয়া উচিত। তিনি জানান, ২০১৫ সালে প্রায় ৬০০,০০০ আমেরিকান, ৪০০,০০০ রাশিয়ান এবং ৩০০,০০০ ফরাসি নাগরিক জেরুজালেম পরিদর্শন করেছে। এই একই সময়ে মুসলিম দেশগুলোর মধ্য তুরস্ক থেকে সর্বোচ্চ ২৬,০০০ লোক জেরুজালেম সফর করেছে। এরদোগান প্রশ্ন রখে বলেন, কেন হাজার হাজার মুসলিম পবিত্র এই স্থানটি পরিদর্শন করতে আসছে না? তিনি বলেন, মুসলিমদের এই ধরনের সফর আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের জন্য সর্বাধিক সমর্থন যোগাবে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাত সম্পর্কে বলতে গিয়ে এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিনি সমস্যার ন্যায্য সমাধান ছাড়া বিস্তৃত এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি অসম্ভব হবে। ইসরাইলের আচরণকে বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গাজার উপর ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ১৯৬৭ সালের চুক্তি অনুয়ায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে পুরোপুরি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। ১৯৬৭ সালে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। ১৯৮০ সালে সমগ্র শহরটিকে একত্রিত করে এটিকে ইসরাইলের একটি অবিচ্ছেদ্য এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে। তবে, দেশটির এই পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কোন স্বীকৃতি নেই। এরদোগান জানান, প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে তুরস্ক সবসময়ই সমর্থন দিয়ে যাবে। তিনি আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে আল-কুদস-সম্পর্কিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়ার জন্য আহŸান জানান। তিনি বলেন, আল কুদস তিনটি ঐশ্বরিক ধর্মের জন্যই পবিত্র স্থান। এটি হচ্ছে সকল মানুষের ইতিহাসের প্রাণ। এরদোগান আরো বলেন, আমাদের ধর্ম ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব থেকে আল কুদস এবং আমাদের প্যালেস্টাইনের ভাইদের অধিকার ও ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই উভয়ই আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কুদসকে একটি শান্তির শহরে পরিণত করার চেষ্টা চালিয়ে যাব। তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টাগুলোর মধ্য অন্যতম হচ্ছে ওয়াক্ফ বা ফাউন্ডেশনকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং তা করা হলে এটি ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। স¤প্রতি হামাসের প্রকাশিত নতুন সনদ সম্পর্কে এরদোগান বলেন, হামাস ও ফাতাহর মধ্যে আলোচনা প্রক্রিয়ার এই সনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে আমি মনে করছি। তিনি বলেন, এটি একটি অসাধারণ সনদ। আমি আশা করি অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ এখন থেকে আরো শক্তিশালী হবে। আনাদোলু নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
আমিনুল ইসলাম ১৩ মে, ২০১৭, ১২:৩৪ পিএম says : 0
পৃথিবীর অন্যান্য মুসলীম রাষ্ট্রগুলো কেন যে এ ব্যাপারে নিরব সেটাই আমার বুঝে আসে না।
Total Reply(0)
Fahad ১৩ মে, ২০১৭, ১২:৩৫ পিএম says : 0
Thanks a lot to the great leader Erdogan
Total Reply(0)
Anowar hossain ১৩ মে, ২০১৭, ৩:৩৬ পিএম says : 0
তুমি পারবে সেই খমতা তোমার অাছে অামরা অাছি তোমার সাথে পুরো মসলিম দুনিয়া ত্রক সাথে
Total Reply(0)
Sujon Islam ১৩ মে, ২০১৭, ৩:৩৭ পিএম says : 0
দোয়া করি সফল হও
Total Reply(0)
Khokan Chowdhury ১৩ মে, ২০১৭, ৩:৩৭ পিএম says : 0
100% correct.
Total Reply(0)
Jahid Hasan Jony ১৩ মে, ২০১৭, ১০:০৮ পিএম says : 0
মুসলিমপ্রধান দেশ গুলা এক হলেই সম্ভব
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন