রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কলমাকান্দায় ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৬ গরুর মৃত্যু

| প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নেত্রকোনা থেকে এ কে এম আব্দুল্লাহ : নেত্রকোনা জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পাহাড়ী ঢলে ফসল তলিয়ে বিনষ্ট হওয়ার পর ব্যাপক হারে গো-মড়ক দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে কৃষকদের মাঝে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
লেঙ্গুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান ভুইয়া জানান, স¤প্রতি প্রবল বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লেঙ্গুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়ে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। ক’দিন পর ঢলের পানি সরে গেলেও সে সব এলাকায় গবাদি পশুর মাঝে দেখা দেয় রোগ বালাই।
তিনি জানান, পানি সরে যাওয়ার পরপরই বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে গবাদিপশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতে থাকে। রাজনগর, শিবপুর, জয়নগর ও দিঘিরপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২ শতাধিক গরু ক্ষুরা রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে ১৬টি গরু মারা গেছে। ফসল বিনষ্টের পর তাদের একমাত্র সহায় সম্বল গবাদিপশু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় কৃষকদের মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
রাজনগর গ্রামের কৃষক মোঃ রেনু মিয়া বলেন, পাহাড়ী ঢলে ফসল হারানোর পর আমার চারটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, এগুলো ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ভ্যাকসিন দিলে ভাল হয়ে যাবে। আমি ভ্যাকসিন দিয়েছি। তারপরও কয়েকদিন আগে আমার একটি গরু ক্ষুরা রোগে মারা গেছে।
দিঘিরপাড়া গ্রামের কৃষক কালা চাঁন জানান, পানি সরে যাওয়ার পর আমাদের গ্রামে হঠাৎ করেই বিভিন্ন গরু রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। বাদলা রোগে আক্রান্ত হয়ে আমার একটি গরু মারা গেছে। আমাদের গ্রামের আরো কয়েকটি গরু মারা গেছে।
কলমাকান্দা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খুরশিদ দেলোয়ারের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি গো-মড়কের কথা স্বীকার করে বলেন, বেসরকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন নাজিরপুর এডিপি অফিসের ব্যবস্থাপনায় আমরা রোগাক্রান্ত গ্রামগুলোতে গবাদিপশুর শরীরে পুষ করার জন্য বাদলা রোগের ভ্যাকসিন এবং একটি করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট দিয়েছি।
তারপরও গরুগুলো ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভারত থেকে চোরাই পথে আসা গরুর সঙ্গে দেশীয় গরুর মেলামেশা করার কারণেই ক্ষুরা রোগের মত ছোঁয়াছে রোগ দেখা দিয়েছে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর-এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাবের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে রোগাক্রান্ত গ্রামগুলোতে গিয়ে আক্রান্ত গরু গুলোর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে কৃষকদেরকে সু-পরামর্শ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। তারা মাঠে কাজ করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন