সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : সীতাকুন্ডে মাইক্রোবাস পুকুরে পড়ে ৪ জন নিহত ও আরো ৬ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাঁশবাড়িয়ায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই গাড়ি চালক পালিয়ে যায়। নিহতদের মধ্যে ৩ জন একই পরিবারের (পরস্পরের আত্মীয়) এবং একজন পথচারী মহিলা। খবর পেয়ে কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ি, সীতাকুন্ড থানা ও ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ও সীতাকুন্ড ষ্টেশানের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং হতাহতদের উদ্ধার করেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল আনুমানিক পৌনে ৭টায় ঢাকামুখী একটি মাইক্রো হায়েছ (চট্ট মেট্টো চ ১১-৪৬৪২) মহাসড়কে সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় হটাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী মহিলাকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশের পুকুরে গিয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই পথচারী স্থানীয় মহিলা মনিকা দাস ও ২ মাইক্রোবাস যাত্রী মোঃ নাছের এবং মোঃ সোলেমান (৫০) নিহত হন। এ সময় আহত হয় আরো ৭ যাত্রী। খবর পেয়ে সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ ও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি কুমিরা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান এবং আহতদের চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোঃ আরিফ নামক আরো এক মাইক্রোবাস যাত্রী নিহত হন। নিহত মনিকা রানী দাস (৪৫) সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নিতাই চন্দ্র দাসের স্ত্রী। এছাড়া নিহত মাইক্রোবাস যাত্রী নাছের (৬০) চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও থানার পূর্ব ষোলশহর ইলিয়াছ ব্রাদার্স বাড়ির মৃত কবির আহমদের পুত্র, আরিফ (২৮) একই বাড়ির এস্কান্দারের পুত্র ও সোলেমান (৫০) সম্পর্কে নিহত নাছেরের বেয়াই হন। তিনি হাটহাজারী বালুছরা এলাকার মৃত সিরাজুল হকের পুত্র। কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই মোঃ মুনীরুজ্জামান বলেন, আত্মীয়ের জানাযায় উপস্থিত হতে যাবার পথে ওরা নিজেরাই লাশ হয়ে ফিরল। ঘটনাটি মর্মান্তিক। নিহতদের মধ্যে ৩জনই পরস্পরের আত্মীয়। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে আব্দুল আজিজ (৬০) ও শিশু সাঈদ (৮) এর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমরা লাশগুলো পোষ্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। এ বিষয়ে মামলা দায়ের হবে।