রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব

তানোরে জেলা পরিষদের জায়গা দখল

| প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে জেলা পরিষদের সম্পত্তি দখল, সম্পত্তির শ্রেণী পরিবর্তন ব্যতিত, সরকারের সব নিয়মনীতি লঙ্ঘন ও সড়ক হুমকিতে ফেলে চার ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। তানোর পৌর এলাকার কালীগঞ্জহাট মাসিন্দা গ্রামের বিএনপি মতাদর্শী রিয়াজ উদ্দীন এসব অবৈধ পুকুর খনন করছেন। আর বিষয়টি যাদের দেখার কথা সেই উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে জেগে জেগে ঘুমাচ্ছেন, ফলে বন্ধ করা যাচ্ছে না পুকুর খননের মহোৎসব। প্রতিনিয়িত একের পর এক ফসলী জমিতে অবৈধ পুকুর খননের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দেখা দিচ্ছ জলাবদ্ধতা। এদিকে গতকাল রোববার স্থানীয়রা রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, তানোরের হাড়দহ বিলে জেলা পরিষদের সম্পত্তি দখল ও তানোর-বায়া সড়ক হুমকিতে ফেলে প্রায় ৩০ বিঘা চারফসলি জমিতে পুকুর খননের কাজ করা হচ্ছে। তানোর-বায়া সড়ক ঘেষে পুকুর খনন করায় সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে সাধারণের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এসব পুকুর খননের কারণে হাড়দহ গ্রামের কয়েকটি হতদরিদ্র পরিবার চরম বিপাকে পড়েছেন। হাড়দহ বিলে কথা হয় কয়েক নারীর সঙ্গে তারা মাঠে গবাদি পশু চরাচ্ছিলেন। এসব নারী বলেন, এসব গবাদি পশুই আমাদের অর্থ উপার্জনের মূল ভরসা। কিন্তু যদি এভাবে একের পর এক পুকুর খনন হয়ে যায় তাহলে আমাদের গবাদি পশু লালন-পালন করা বন্ধ হয়ে যাবে খাবার সঙ্কটের কারণে। তারা আরও জানান, হাড়দহ বিলের বেশির ভাগ ফসলি জমিতে পুকুর করা হয়েছে, যা বাকি আছে সেখানেও পুকুর খনন শুরু করা হয়েছে। তাহলে মাঠের অভাবে আমরা গবাদি পশু লালন-পালন করবো কিভাবে। গত মৌসুমে তানোর পৌর এলাকার মাসিন্দা গ্রামের বাসিন্দা ও সরকারি চাকরিজিবি রফিকুল ইসলাম জেলার প্রায় ৫০ বিঘা ফসলি জমির উপর পুকুর খনন করেছেন। তার দেখাদেখি একই গ্রামের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন জেলা পরিষদের জায়গা দখলে নিয়ে প্রায় ৩০ বিঘা জমির উপর পুকুর খনন শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে রিয়াজ উদ্দীন জানান, সবাই হাড়দহ বিলে পুকুর খনন করেছেন। বিলের জমি বলতে কিছুই নেই। ইতোমধ্যে অনেক পুকুর খনন হওয়ার কারণে বাকি জমিতে আবাদ হচ্ছে না। আমি খনন করলে দোষ কোথায়। এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ শওকাত আলী জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, জেলা পরিষদের সম্পত্তি কেউ জবরদখল করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন