হত্যা, শাশুড়ি ও ননদ আটক
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে পাষন্ড স্বামী শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করছে তার স্ত্রীকে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী পালিয়ে গেলেও পুলিশ শাশুরি ও ননদকে আটক করেছে।আটককৃতরা হচ্ছে শাশুরি রোকেয়া বেগম (৫০) এবং ননদ ফারজানা আক্তার (১৮)। গতকাল সোমবার ভোর রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরার নামাবাড়ি এলাকায়। নিহত গৃহবধু বিথী আক্তরের বাবা মোঃ জাহিদ হোসেন জানান, আমার মেয়ে বিথী আক্তার (১৮) জিনজিরা পী এম পাইলট গার্লস স্কুলে ৯ম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় ঘাতক নাদিম হোসেন (২২) মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে গত ১০ মাস পূর্বে নাদিম আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই নাদিম আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। নাদিম মোবাইলে আমার মেয়ের কাছে সৌদি যাওয়ার জন্য ১০লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমি হতদরিদ্র হওয়ায় এতো টাকা তাকে দিতে পারিনি। যৌতুকের টাকা না পেয়ে নাদিম আমার মেয়ের উপর আরো নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। যৌতুকের টাকার জের ধরেই রোববার দিবাগত রাতেও আমার মেয়ের সাথে নাদিমের ঝগড়া হয়। এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই ঘাতক নাদিম সোমবার ভোর রাতে বিথী আক্তরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সকালে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমার মেয়ের শাশুরি ও ননদ কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ, উপ-পরিদর্শক মোঃ আলা উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি । পরে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়। এই ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে শাশুরি ও ননদকে আটক করি। নিহতের লাশটি দেখে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা যাচ্ছে যে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের বাবা জাহিদ হোসেন নামাবাড়ি এলকায় হাজী শওকত হোসেনর বাড়িতে ভাড়া থাকে। আর ঘাতক নাদিম হোসেন একই এলাকায় মোঃ স্বপনের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন