মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফটিকছড়ি-হেঁয়াকো সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

ঢাকা-ফটিকছড়ি দূরত্ব কমবে ১৫০ কি.মি.

| প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : উত্তর চট্টলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক ‘ফটিকছড়ি-হেঁয়াকো মহাসড়ক’ ২ শ’ ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশস্থকরণ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়ায় পুরো ফটিকছড়ি জুড়ে আনন্দ-উল্লাস শুরু হয়েছে। সওজ’র চট্টগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুহাম্মদ শাহে আরেফীন জানান, প্রাক্কালণটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যাবার পর এমপি মহোদয় নিজে গিয়ে মাননীয় মন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামালের সাথে দেখা করে প্রাক্কলণটি একনেকে তোলার ব্যবস্থা করেন। ফলে গত ১৬ মে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্থতায় উন্নীতকরণে ৪৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সেখানে ফটিকছড়ি উপজেলার হাইদচকিয়া-হেঁয়াকো সড়ক প্রশস্থকরণ প্রকল্প রয়েছে। তিনি আরো জানান, এই সড়ক আগে প্রশস্থ ছিল ১২ ফুট, এখন হবে ২৪ ফুট। দৈর্ঘ্য হবে ২৬.৬৪ কিলোমিটার। ১০.২৫ মিটার প্রস্থ ১১টি ব্রীজ হবে এবং ৩২টি ছোট-বড় কালভার্ট নির্মিত হবে। তৎমধ্যে ৪টি বড় ব্রীজ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- বালুখালী ব্রীজ ৭২ মিটার, নারায়ণহাট ব্রীজ ৪৪ মিটার, বারমাসিয়া ব্রীজ ৩৪ মিটার, নন্দীব্রীজ ২৫ মিটার। বাজার সমূহে দু’পাশের্^ ড্রেন এবং সড়ক পাশের্^ রক্ষাকবচ দেয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া দেড় কিলোমিটার সড়কের বাঁক সোজা করা হবে। এক্ষেত্রে বৃন্দাবনহাট, কাজিরহাট, নারায়ণহাট বাইপাস হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সড়কে ব্যয় হবে ২ শ’ ৪৬ কোটি টাকা। পরে আরো বাড়তেও পারে। আগামি আগস্ট থেকে কাজ শুরু হতে পারে এবং শেষ হবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। ফটিকছড়ি-হেয়াকো সড়ক নির্মিত হয়ে গেলে প্রায় ৮ লক্ষ ফটিকছড়িবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে। বিশেষ করে- ফটিকছড়িসহ উত্তর চট্টলাবাসীকে আর চট্টগ্রাম শহর হয়ে ঢাকা বা অন্যান্য জেলায় যেতে হবে না। ফটিকছড়ির এ সড়ক দিয়ে হেঁয়াকো হয়ে করেরহাট থেকে বারইয়ারহাট কিংবা ছাগলনাইয়া-ফেনী হয়ে অতিদ্রæত যাওয়া যাবে। এতে করে গড়ে ১৫০ কিলোমিটার দুরত্ব এবং তৎপরিমাণ গাড়ীভাড়া কমে যাবে। এছাড়া চিমুতাং গ্যাস ফিল্ড, এশিয়ার বৃহত্তম দাঁতমারা রাবার বাগান এবং ১৪টি চা বাগানে যাতায়াত অত্যন্ত সহজতর হবে। গড়ে উঠবে পর্যটন কেন্দ্রও।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন